যুক্তরাজ্য সফরের শেষ পর্যায়ে বৃহস্পতিবার লন্ডনের তাজ হোটেলে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। খুনি ও অর্থপাচারকারীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, যত টাকাই খরচ করুক, তাদের কোনো ক্ষমা নেই এবং জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।
“আদালত খুনি ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আমরা এই রায় কার্যকরের পদক্ষেপ নেব। তারা যত স্লোগানই দিক, যত তিরস্কারই করুক, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।”
খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে দেশে ফেরাতে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা অবৈধভাবে, এতিমের টাকা চুরি করে, মুদ্রা পাচার করে প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের সময় প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাজ হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে পাল্টা স্লোগান তুলে এলাকাটি সরগরম করে রাখে।
বিএনপির ‘প্রোপাগান্ডার’ বিষয়ে প্রবাসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
গত নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লন্ডনে এবং দেশের বাইরে অন্যান্য জায়গায় বাণিজ্য হয়েছে, একেক প্রাথীর কাছ থেকে কোটি, কোটি টাকা নিয়েছে। ৩০০ আসনে ৬০০ এর বেশি ক্যান্ডিডেট দিয়েছে।
“বিএনপি সকালে একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে, বিকেলে আরেকজনকে দিয়েছে। টাকা দিয়ে মনোনয়ন বিক্রি করেছে।”
ওয়ান-ইলেভেনের সময় পাশে থাকার জন্য প্রবাসী বাঙালি এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রতি ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ছিলেন।
আট দিনের ‘সরকারি’ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে রওনা হবেন বলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর জানান।