ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্রী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহতের ঘটনায় সেই কাভার্ডভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে। তার নাম আরিফুল।
শনিবার তাকে ঢাকার বাইরে থেকে আটক করা হয়। তবে কোন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
শেরে বাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সী সমকালকে বলেন, কাভার্ডভ্যানটি জব্দ এবং চালককে আটক করা হয়েছে। রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে লাবণ্যর নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের দাবিতে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড-ফেস্টুন। মানববন্ধন থেকে চালককে গ্রেফতারে সাতদিনের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। বিকেলে চালককে গ্রেফতার করা হয়।
লাবণ্যর সহপাঠী লাবিব সাদ ওয়াহিদ সমকালকে বলেন, আমরা চাই না আবরার, লাবণ্যের মতো আর কারও এমন মৃত্যু। নিরাপদ সড়ক চাই। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লাবণ্যর বাসা রাজধানীর শ্যামলীতে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের মোটরসাইকেলে চড়ে খিলগাঁওয়ে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে মোটরসাইকেলটি শেরেবাংলা নগরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কায় লাবণ্য নিহত হন। উবার চালক সুমন পুলিশ হেফাজতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর কাভার্ডভ্যান নিয়ে পালিয়ে যান চালক। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরারা ফুটেজ সংগ্রহের পর পর্যালোচনা করে কাভার্ডভ্যানটি শনাক্ত করে পুলিশ।