এই ম্যাচে মাঠে নেমেই অবশ্য আরেকটি দারুণ অর্জন ধরা দেয় গেইলের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে খেললেন ৩০০ ওয়ানডে।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩০০ ওয়ানডে খেলতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। কারণ এই ৩০০ ওয়ানডের ৩টি গেইল খেলেছেন আইসিসি বিশ্ব একাদশের হয়ে। সব ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেননি বলে রানের রেকর্ডের হিসাবও আলাদা। সেই হিসাব আলাদা ব্রায়ান লারার ক্ষেত্রেও। ক্যারিয়ারের ২৯৯ ওয়ানডের ৪টি লারা খেলেছিলেন বিশ্ব একাদশের হয়ে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডে লারাকে ছুঁতে এ দিন গেইলের প্রয়োজন ছিল কেবল ৬ রান। এই রানটুকু করতেই তাকে অপেক্ষা করতে হয় নবম ওভার পর্যন্ত। বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদের বল থার্ডম্যানে পাঠিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ছাড়িয়ে যান লারাকে।
মাঠের বড় পর্দায় অর্জনের ছবি ভেসে উঠলেও শুরুতে খেয়াল করে ওঠেননি দর্শকদের বেশিরভাগই। তাই ছিল না তেমন উল্লাস। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি সেটি খেয়াল করে হাত উঁচিয়ে জাগিয়ে তোলেন দর্শকদের। তখন তুমুল হুল্লোড় ওঠে গ্যালারিতে। ব্যাট উঁচিয়ে অভিনন্দনের জবাব দেন গেইল।
পরের ওভারেই তিনি আউট হয়ে যান ১১ রান করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তার ওয়ানডে রান এখন ১০ হাজার ৩৫৩। লারা থেমেছিলেন ১০ হাজার ৩৪৮ রানে।
ক্যারিবিয়ান হিসেবে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায়ও ততক্ষণে ছাড়িয়ে গেছেন লারাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বিশ্ব একাদশের রান মিলিয়ে গেইলের রান এখন ১০ হাজার ৪০৮। লারার ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ হয়েছিল ১০ হাজার ৪০৫ রান করে।
এই দুইজন ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৯ হাজার রানও নেই আর কারও। ৮ হাজার ৭৭৮ রান করে তিনে শিবনারায়ন চন্দরপল। ৮ হাজার ৬৪৮ রান করে চারে ডেসমন্ড হেইন্স। ৬ হাজার ৭২১ রান করে পাঁচে ভিভ রিচার্ডস।