চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের স্থান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো মরদেহগুলোর মধ্যে থেকে কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তা স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, বেলা সোয়া দুইটার দিকে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
“যাদের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে সেগুলো তাদের স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
শনাক্ত মরদেহের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও এদিন ৩০-৩৫টি মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
চকবাজার থানার এসআই প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, সুষ্ঠুভাবে লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় কাজটি করছে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের তথ্য সরবরাহের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিকেলে একটি তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
তথ্যকেন্দ্রে অবস্থান করা জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইমরুল হাসান বলেন, মরদেহ সমাহিত করার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকার কয়েকটি ভবনে লাগা আগুন সকালে নেভানোর পর ৭০টি লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানোর কথা জানায় কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ।
তবে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ ৬৭টি লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
সংখ্যার গড়মিলের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক তারেক হাসান ভূইয়ার ভাষ্য, তাদের হিসাবে লাশ ৭০টি।
“তবে কয়েকটা ব্যাগে খণ্ড খণ্ড ডেডবডি ছিল। সম্পূর্ণ ডেডবডি হয়ত ৬৭টি হতে পারে।”
কয়েকটি লাশ এতটাই পুড়েছে যে চেনার উপায় নেই।
যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হবে না, সেগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে স্বজনদের সঙ্গে মিলিয়ে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।
এছাড়া আগুনে দগ্ধ নয়জনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬০ শতাংশ দগ্ধ একজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
এর বাইরে আরও নয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।