অধিনায়কত্ব মুশফিককেই দেওয়া হবে নাকি শান্ত অথবা আকবর, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি বিপিএলের নতুন দলটি।
দৃশ্যটিতে বিস্ময়ের কিছু নেই, বরং খুবই চেনা। দলীয় অনুশীলন শুরুর সময়ের অনেক আগেই কিট ব্যাগ কাঁধে নিয়ে মাঠে হাজির মুশফিকুর রহিম। বয়স, অর্জন, কিংবা অতীমজুবত, জাতীয় দল হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট, তার নিজস্ব প্রথায় কোনো ছাড় নেই নিজের। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের হয়ে বিপিএলে নতুন অধ্যায়ের শুরুতে আবারও তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন সেই জায়গাতেই, যেখানে অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে নেতৃত্বের ভাষা।
বিপিএ দলগুলো এখনও ব্যস্ত মাঠের বাইরের প্রস্তুতি ও গোছাগাছ নিয়ে। এর মধ্যেই ছয় দলের সবার আগে শনিবার মাঠের ক্রিকেটে প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজশাহী। এই প্রস্তুতি থেকে সামনের মূল অভিযানের বৈতরণি পার হতে চায় তারা অভিজ্ঞতার ভেলায়। সেই চেষ্টায় তাদের ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে মুশফিক।
মিরপুরে অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচ হান্নান সরকার বললেন, রাজশাহীর জন্য মুশফিক শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, দলের বড় শক্তিও।
“নিলামের পর মুশফিকের সাথে আমার এবং শান্তর কথা হয়েছে। মুশফিক খুবই পজিটিভ। সে রাজশাহীর (বিভাগের) ছেলে, তাই ঘরের দলে খেলার একটি আবেগ তার আছে। মুশফিক আমাদের দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, তাকে আমরা একজন লিডার হিসেবেই দেখছি। তার অভিজ্ঞতা আমাদের দলের জন্য বড় পাওয়া।’’
রাজশাহী দলে মুশফিকদের সঙ্গে খেলবেন জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে হান্নানের কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী লিমিটেড, আসরের বেশির ভাগ ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন শান্ত।
সেই বোঝাপড়ার ধারাবাহিকতা এবার বিপিএলেও কাজে দেবে বলে বিশ্বাস কোচের।
“শান্ত বাংলাদেশের অধিনায়ক। তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব দিয়েছে। এলিট লেভেলে তার অধিনায়কত্বের শুরুটা আমার খুব কাছ থেকে দেখা। মিনিস্টার রাজশাহী দলে সে অধিনায়ক ছিল, আমি ছিলাম মেন্টর। তখন থেকেই আমাদের সম্পর্কটা খুব ঘনিষ্ঠ। পরে জাতীয় দলের নির্বাচক থাকার সময়ও নানা সভায় তার ক্রিকেটীয় বোধ দেখেছি।’’
“শান্ত খুব ভালো টিমম্যান। দলের ফলাফল আনার পেছনে এই ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজে ভালো না খেললেও কীভাবে দল থেকে সেরাটা বের করে আনতে হয়, সেটা সে জানে। আবাহনীতেও আমরা সেটা দেখেছি।”
তবে নেতৃত্ব শান্তই পাবেন নাকি অন্য কেউ, তা এখনও খোলাসা করেননি রাজশাহী কোচ।
“আমাদের কাছে ভালো ক্যান্ডিডেট আছে মুশফিক, শান্ত, এমনকি আকবরও। সবাই প্রমাণিত অধিনায়ক। বলা যায়, অধিনায়কত্বের বিবেচনায় আমাদের একটা মধুর সমস্যা আছে। খুব শিগগিরই সবাই জানতে পারবেন কে হচ্ছেন রাজশাহীর অধিনায়ক।’’
হান্নানকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কিপার নিয়েও। মুশফিক ও আকবরের মতো প্রতিষ্ঠিত দুজন কিপার তো আছেনই, প্রয়োজনে শান্তকেও কিপিং গ্লাভস হাতে তৈরি দেখতে চান কোচ। তবে শেষ পর্যন্ত মূল কিপার মুশফিকই হবে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন কোচ।
“টিম কম্বিনেশনে মুশফিক একটু এগিয়ে থাকবে। সে কিপিংটা খুব উপভোগ করে। কিপিং করলে সে খেলায় বেশি সম্পৃক্ত থাকে। মুশফিকের মতো একজন অভিজ্ঞ কিপার উইকেটের পেছনে থাকলে অধিনায়কের জন্য বোলিং ও দল পরিচালনা অনেক সহজ হয়ে যায়। অন্য কেউ অধিনায়ক হলে মুশফিকের গাইডেন্স পাবে।”





