লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ১৫০ শরণার্থীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
নৌযানটি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির ১২০ কিলোমিটার পূর্বের শহর আল খোমস থেকে ছেড়ে এসেছিল। এতে প্রায় ৩শ’ মানুষ বোঝাই ছিল।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে এ তথ্য জানা গেছে। তবে শরণার্থীরা একটি না দু’টো নৌকায় ছিল তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
স্থানীয় জেলেরা আরো ১৫০ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে এবং উপকূলরক্ষীরা তাদেরকে লিবিয়ায় ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
তবে লিবিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১১৬ জন নিখোঁজ হয়েছে। আর উদ্ধার পেয়েছে ১৩২ জন। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, কাঠের নৌকাটিতে ২ শতাধিক শরণার্থী ছিল।
এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত হলে এ বছর এটিই হবে ভূমধ্যসাগরে শরণার্থী নৌকাডুবিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা।
এ বছরের প্রথম চারমাসে ভূমধ্যসাগরের একই রুটে প্রায় ১৬৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত মে মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে শরণার্থী নৌকা উল্টে অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়।
লিবিয়া থেকে শরণার্থীরা ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিবছরই এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে।