ঋতুর তালে পোশাক পরা যেমন আবেদনময় তেমনি আরামের দিকও খেয়াল রাখতে হয়।
এতে মন তো ভালো থাকেই সঙ্গে আরামও পাওয়া যায় বেশ। তবে শরতের সময় গরমও থাকে বেশ।
তাই বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহমিনা রহমান শরৎকালে পোশাক নির্বাচনে সঠিক তন্তু ও প্রকৃতির রংয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
এই সময়ে খুব একটা গরম বা ঠাণ্ডা থাকে না। তাই তন্তু হওয়া চাই মিহি ও মসৃণ। বাতাস চলাচল করে এমন তন্তু বাছাই করলে প্রকৃতির সুন্দর আবহওয়া উপভোগ করা যায়।
যখন তখন বৃষ্টি নামে তাই ভিজলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এমন কাপড় নির্বাচন করাই শ্রেয়।
এক্ষেত্রে শিফন, জর্জেট, সুতি ও সিল্ক বেছে নেওয়া যেতে পারে বলে জানান এই অধ্যাপক।
সুতি কাপড় আরামদায়ক বাতাস চলাচলের সহায়ক। পানিও দ্রুত শুকিয়ে যায়। যারা উজ্জ্বলতা পছন্দ করেন তারা সিল্ক, শিফন বা জর্জেট ব্যবহার করতে পারেন।
“এসব তন্তুর স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা থাকায় হালকা বা গাঢ় যে কোনো রংয়ের পোশাকই দেখতে ভালোলাগে,” বলেন শাহমিনা ।
পূজার আমেজ পাওয়া যায় শরতে। তাই উৎসবের পোশাক হিসেবেও এই ধরনের তন্তু বেছে নেওয়া যেতে পারে। এতে দেখতে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ লাগবে। আবার আরামেও কমতি থাকবে না।
পুরুষরা এই সময় বেছে নিতে পারেন মিহি তন্তুর টি-শার্ট বা পোলো। এছাড়াও মিশ্র তন্তু, সিন্থেটিক, সুতি ও রেওনের মিশ্রণে তৈরি টি-শার্ট, শার্ট বা ফতুয়া ও পাঞ্জাবি ব্যবহার করা ভালো।
পোশাকে প্রকৃতির ছোঁয়া বরাবরই ভালো লাগে। শরৎ মানেই নীল-সাদার ছড়াছড়ি। অন্যদিকে সবুজ সৌন্দর্য বাড়তি মাত্রা যোগ করে।
তাই পোশাকের রং বাছাই করার ক্ষেত্রে এই ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে সাদা, ধূসর, নীলাভ-সবুজ ইত্যাদি রং প্রাধান্য দিতে পারেন বলে পরামর্শ দেন এই অধ্যাপক।
নীলের যে কোনো শেইড দেখতে বেশ ভালো লাগে এই মৌসুমে। এছাড়াও চাইলে ঘিয়া ও হালকা যে কোনো রং, নীল-সাদার মিশ্রণ বা সাদা সবুজের মিশ্রণ খুব ভালো লাগে দেখতে।