একনেকের অনুমোদন ছাড়াই হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে ব্যয় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ২০ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
ঠিকাদার নিয়োগ পেয়েছে মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিয়াটা করপোরেশন ও স্যামসাং সিঅ্যান্ডটির সমন্বয়ে গঠিত এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ব্যয় বাড়িয়ে ধরা ক্রয় প্রস্তাবটি শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান।
প্রকল্পে ব্যয় বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “প্রথমে কিছু এলাকা ধরিনি, সেই এলাকাগুলো ধরা হয়েছে। মানুষ ও মালামাল সেগুলোর জন্য একটি টার্মিনাল ব্যবহার করা হত এবার টার্মিনাল আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া আমদানি ও রপ্তানির জন্যও আলাদা টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করায় সব মিলে ব্যয় বেড়েছে বলে তিনি জানান।
বর্ধিত ব্যয়ের প্রস্তাব একনেকের আগেই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “যেহেতু অগ্রাধিকার প্রকল্প তাই সময়ক্ষেপণ না করে কাজটি এখানে করে দিলাম, যাতে দ্বিতীয়বার এখানে না আসতে হয়।”
এর ফলে একনেকে সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনের পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তোলার দরকার হবে না বলে তিনি জানান।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির জন্য তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামা উন্নয়নে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়।
প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার নিয়োগে ‘আন্তর্জাতিক ক্রয় এক ধাপ দুই খাম’ পদ্ধতিতে দরপত্র ডাকা হয়। ২২টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে মাত্র দুটি দরপ্রস্তাব।
এর মধ্য থেকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামকে কর ও ভ্যাটসহ ২০ হাজার ৫৯৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯৯ টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে, যা প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি মূল্যের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ ও প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।