শিক্ষায় স্থায়ী কমিশনসহ নানা সুপারিশ

Untitled-12-67927220808de

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একাধিকবার শিক্ষা কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করা হয়নি। গবেষণা ও যাচাই-বাছাই ছাড়া শিক্ষায় নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ফলপ্রসূ কোনো কিছু হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিভ্রান্ত হয়েছেন শিক্ষক-অভিভাকরাও। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়াও প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।

আগামী সপ্তাহে এই পরামর্শক কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ভাবছে। এতে শিক্ষায় নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উঠে এসেছে। তার মধ্যে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করা, শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বাড়ানো, দুর্বল বা পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের মধ্যেই পৃথক ব্যবস্থা রাখা, শেখার দিক বিবেচনা করে বিদ্যালয়গুলোকে লাল, হলুদ ও সবুজ এই তিন শ্রেণিতে গ্রেডিং করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশের চিন্তাভাবনা করছে পরামর্শক কমিটি।

কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনজুর আহমদ যুগান্তরকে বলেন, পরামর্শক কমিটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের ওপর বেশি জোর দিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ হিসাবে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো ও আলাদাভাবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলবে কমিটি। আগামী সপ্তাহে এই সুপারিশ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

Pin It