শিষ্য শুভেন্দু বিজেপির হয়ে লড়বেন মমতার বিরুদ্ধে

image-227491-1615063801

গত দেড় দশক ধরে মমতা ব্যানার্জির ছায়াসঙ্গী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কয়েক মাস আগে শিবির বদলে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে চলে গেছেন বিজেপিতে। এবার গুরু মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন শুভেন্দু। স্বাভাবিকভাবেই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটি হয়ে উঠল হেভিওয়েট।

শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করার পরই নন্দীগ্রামে লড়ার ঘোষণা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। পালটা শুভেন্দু ঘোষণা করেছিলেন মমতাকে তিনি ঐ কেন্দ্রে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারাবেন। গত শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় মমতা শুধুই মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। ছেড়ে দিয়েছেন কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রটি।

গতকাল শনিবার বিজেপি প্রথম দুই দফার জন্য ৬০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। সেখানে প্রত্যাশা মতোই মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপির তালিকায় চমক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। তবে সেই আলো পুরোটাই কেড়ে নিয়েছেন শুভেন্দু। ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোটার নন্দীগ্রামে। ২০০৭ সালে এখান থেকেই সিপিএম-বিরোধী আন্দোলন শুরু করে মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গে জনমত বাড়াতে শুরু করেন। সেই আন্দোলনের মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন মমতা ব্যানার্জির ?অতি বিশ্বস্ত শুভেন্দু অধিকারী।

শুধু নন্দীগ্রাম নয় দুই মেদিনীপুর জেলায় সিপিএমের ঘর ভেঙে তৃণমূলের জয় পতাকা প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০০৯ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরোজা বিবি জেতেন ৪০ হাজার ভোটে। শুভেন্দু নিজে নন্দীগ্রাম যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই তমলুক থেকে জেতেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ভোটে। পাঁচ বছর বাদে ব্যবধান বাড়িয়ে করেন ২ লাখ ৪৬ হাজার।

নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান ক্রমশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে শুভেন্দু অধিকারী এই কেন্দ্র থেকে ৮১ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী হন। ২০১৯ সালে বিজেপি প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে উঠে এসেছে। সেই সময়েও তমলুক লোকসভা আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী (?শুভেন্দু অধিকারীর ভাই)? ১ লাখ ৯০ হাজার ভোটে জিতেছেন।

১৪ বছর পর সেই আসনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপির শুভেন্দু। আত্মবিশ্বাসী মমতার ভরসা মুসলিম ভোটের পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ। পালটা শুভেন্দুর দাবি এই কেন্দ্রে ভোট পড়ত তার নামেই। স্বাভাবিকভাবেই এই কেন্দ্র এবার হেভিওয়েট।

কলকাতায় সভা নরেন্দ্র মোদির

আজ রবিবার কলকাতায় নির্বাচনি সভা করতে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সভা ঘিরে সবার মধ্যে কৌতূহল বিরাজ করছে। কৌতূহলের একটা কারণ সৌরভ আসছেন কি না। মাঝেমধ্যে রটে যাচ্ছে আসতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী, অক্ষয়কুমার। তবে এ নিয়ে বিজেপির কেউই খোলাখুলি কিছু বলছেন না। তবে সবারই কৌতূহল রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি কী বলেন তা নিয়ে।

Pin It