এবার শীতে ত্বক থাকবে আরও কোমল-মসৃণ আর তরতাজা-উজ্জ্বল-স্নিগ্ধ। কীভাবে?
হাজার বছর ধরে সৌন্দর্য রক্ষায় মানুষ নির্ভর করেছে প্রকৃতির ওপর।
এসব পণ্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তেল। ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের তেল।
তেল শুধু ত্বককে মসৃণ করে তা নয়, প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। এর ফ্যাট লোমকূপ বন্ধ করে। ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে।
অলিভ অয়েল ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ। এটি আপনি নিশ্চিন্তে ত্বক, নখ এবং চুলে ব্যবহার করতে পারবেন। লক্ষ্য করবেন যে, দিনের পর দিন আপনার ত্বক কতটা জেল্লা দিচ্ছে। নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!
নারিকেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চার হিসেবে কাজ করে। এটি সারাদিন ত্বকে আর্দ্রতা ও পুষ্টি ধরে রাখে।
সরষের তেলে রয়েছে অয়েলিক ও লিনোলিক অ্যাসিড যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি শরীরকে চাঙা করে তোলে ও ত্বকের দীপ্তি বাড়ায়। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হওয়ায় এটি ত্বককে চর্মরোগ হওয়া থেকে বাঁচায়। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
গোসলের আগে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ত্বকে যে কোনো তেল মেখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন।
এছাড়া অলিভ অয়েল ও কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব করুন। সরষের তেল ও সামান্য লবণের স্ক্রাব ত্বকের মরা চামড়া দূর করে ত্বক মসৃণ রাখে।
শীতে সপ্তাহে একবার শুষ্ক ত্বকের জন্য চন্দনগুঁড়া, দুধের সর, যে কোনো তেল আধা চা চামচ আর সামান্য হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে মুখ ও ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক হবে উজ্জ্বল আর সঙ্গে আসবে মসৃণতা।
এক চিমটি জাফরান,কাঁচা দুধে মিশিয়ে মুখে লাগান প্রতিদিন। পনেরো দিন পরে নিজেই পরখ করতে পারবেন নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতা।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা ব্যস্ত থাকি তবে ত্বক সুন্দর রাখতে এই ব্যস্ততার মধ্যেও কিছুটা সময় ত্বকের জন্য ছাড়তে হবে।
শীতকালে ত্বকের যত্নে আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও মনোযোগী হতে হবে।
শীতের শাকসবজি ও ফল সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। শিম, বরবটি, নানারকম শাক, মটরশুঁটি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।