শুটিং ফ্লোর ফাঁকা, বাইরে শিল্পীদের মিছিল

ttt2-5db013c868715

সিনেমার শুটিং নেই এফডিসিতে। শুটিং ফ্লোরের প্রায় সবগুলোই পড়ে আছে ফাঁকা। যদিও গত ২১ অক্টোবর ৪ নম্বর ফ্লোরে ‘ডেঞ্জার জোন’ নামের একটি ছবির শুটিং ছিলো এফডিসিতে। মাত্র একদিনের শুটিং ছিলো। গতকাল এফডিসির সবকটি শুটিং ফ্লোর ঘুরে ঘুরে সিনেমার শুটিং চোখে পড়েনি। তবে এটা কিন্তু শুধু মঙ্গলবারের চিত্র নয়। বলা যায় পুরো বছরেরই চিত্র।

তবে এফডিসিতে সিনেমার শুটিং না থাকলেও ছিলো শিল্পীদের মিছিল মিটিং। এফডিসির ভেতরে দফায় দফায় মিটিং করতে দেখা গেলো শিল্পীদের। কারণ আগা্মী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদি নির্বাচন। এ নির্বানকে ঘিরেই সমতির সদস্যরা সরব এফডিসিতে।

এফডিসির মূল ফটক থেকে শুরু করে শিল্পী সমিতির কার্যালয় পর্যন্ত প্রার্থীদের ছবিযুক্ত ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। সমিতির বাইরে এক পাশে মিশা জাযেদ খানের প্যানেলের ক্যাম্প, অন্য পাশে স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী মৌসুমীর ক্যাম্প। দুই ক্যাম্পেই আড্ডায় সরব শিল্পীরা। যেনো নিশ্চিন্তে আড্ডা দিয়ে যাচ্ছেন, চালাচ্ছেন প্রচারণা।

অথচ এফডিসিতে তো শুটিং নেই, সিনেমা হলেও মুক্তি পাচ্ছেনা দেশীয় ছবি। প্রায় সপ্তাহেই ফাঁকা যাচ্ছে দেশের হলগুলো। এমন পরিস্থিতে হলগুলোও বন্ধের উপক্রম। ইতোমধ্যে ঢাকার ঐহিত্যবাহী রাজমনি হল তো বন্ধই হয়ে গেলো।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান এর সঙ্গে। তিনি বলেন, এসব করে কোন লাভ নেই। আগে সিনেমা ও সিনেমা হল বাঁচানো বেশি দরকার। তবে নির্বাচন হচ্ছে হোক। এটা নিয়ে এতো আওয়াজ করার কী আছে?

প্রতি মেয়াদে নির্বাচনের চেয়ে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচন একটু ভিন্নতা রয়েছে। সেটা হচ্ছে আগে নির্বাচনে দুটি বা তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। এবার একমাত্র মিশা-জায়েদ পূর্ণ প্যানেল দিয়েছেন। বিপরীতে স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে লড়ছেন মৌসুমী ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা।

নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মৌসুমী বলেন, নির্বাচন উৎসবমূখর হবে এটা আমরাও চাই। কিন্তু শিল্পী সমিতির নির্বাচন এতোটা্ মাতামাতি হবে এর মানে আমিও বুঝছিনা। এমন কেনো হচ্ছে। এটা তো বড় কোন নির্বাচন নয়। কেউ কেউ এফডিসিতে সংসার পেতে বসে আছেন। অথচ সিনেমা নিয়ে এমন আগ্রহ থাকলে চলচ্চিত্র আরও উন্নত হতো। এফডিসির ফ্লোরে ফ্লোরে আজ শুটিং থাকতো।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের এমন আওয়াজ নিয়ে কথা বলেন মিশা সওদাগরও। তিনি বলেন, শিল্পীদের নির্বাচন তো উৎসবমুখর হবেই। তবে প্রায় দিনই আমার শুটিং থাকে। শুটিং সেটা এফডিসির ভেতরে বা বাইরে। শুটিং শেষ করেই নির্বাচনী প্রচারণা যোগ দেই।

তবে যত উৎসবমূখর নির্বাচনই হোক সিনেমার উন্নয়ন বা বেশি বেশি সিনেমা নির্মাণ না হলে এসব সমিতির কোন অর্থ নেই বলেই অধিকাংশ সিনিয়র শিল্পীরা মন্তব্য করন।

Pin It