সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের বিরুদ্ধে নয়, এ অভিযান অপরাধী এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্বৃত্তায়ন চক্র ভাঙতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন আপন ঘর থেকে।
শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও র্যাবকে পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দিল্লি যাওয়ার আগেও বলে গিয়েছেন, এই শুদ্ধি অভিযান কোনো অবস্থায়ই শিথিল হবে না। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যদি জামিন পান এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার মতো অবস্থায় থাকেন, সেটা তখন বিবেচনা করা যাবে। তবে বিএনপি যা দাবি করছে, তার সঙ্গে চিকিৎসকদের রিপোর্টের সঙ্গতি নেই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। এমন নয় যে, এই বয়সে তার শরীর পুরোপুরি সুস্থ-সবল থাকবে। তার জন্য চিকিৎসকদের একটি টিম আছে এবং একটি বোর্ডও আছে। এখানে বিষয়টির যেমন মানবিক দিক রয়েছে, তেমনি আইনগত দিকও রয়েছে। কিন্তু আইনগত দিকটি সরকারের হাতে নেই।
এ সময় সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার, সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার ওসি মজিবুর রহমান এবং সড়ক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।