শেখ হাসিনার জন্য যড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি

image-171546-1629733524bdjournal

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৫ আগস্ট দেশি বিদেশি শোষক, ধনিক গোষ্ঠী, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রেরই ফসল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাদের উদ্দেশ্য সফল সমাপ্তিতে পৌছায়নি।

সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও ১৫ আগস্টের সকল শহিদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ (বিপিপি), টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলা ভাষা, বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। এই বিষয়ে বঙ্গবন্ধু তার নিজের নীতি, আদর্শ ও দর্শন থেকে কখনো বিচ্যূত হননি। এমনকি তিনি তার রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকেও বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার আন্দোলনের পক্ষে সম্মত করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেননি তিনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা সূচনা করেছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই হাজার বছরের পরাধীন জাতিকে মুক্ত করেছেন, পৃথিবীতে বাংলা ভাষা ভিত্তিক বাঙালির একমাত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে সম্মান জানাতে হলে তার দ্বিতীয় বিপ্লব সম্পর্কে পড়তে হবে, বুঝতে হবে। তা না হলে বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না।

তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের পর ৬ বছরের শরণার্থী জীবন শেষে ৮১ সালে দেশে ফিরে ১৫ বছর মরণপণ যুদ্ধ করে ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক সংগঠন পুণর্গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

সভায় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদসু সবুর বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আজ দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেছেন যা সারা বিশ্বে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে ২০৪১ সালে নয় ২০২০ এর মধ্যেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতাম।

বিপিপি ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাহাব উদ্দিন, আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) পিইঞ্জ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Pin It