প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রাম মুখর জীবনের কথা তুলে ধরে তাকে ‘জীবন্ত ইতিহাস’ অভিহিত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন একজন নারীর ইতিহাসে সফলতার এক অনন্য উদাহরণ। অনেক সংগ্রাম তিনি করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সংগ্রাম।
“বাংলার মানুষকে যে অথনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই অথনৈতিক মুক্তির পথ দেখাতে সংগ্রাম করে চলেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাজেই তিনি কিন্তু একজন জীবন্ত ইতিহাস।”
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ আয়োজিত ৪৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার শিরীন শারমিন।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এসে এদেশের মানুষের কল্যাণে যে কাজ হাতে নিয়েছেন সেটাও ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়।
“ইতিহাসে নারীকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে নারীকে অগ্রসর হতে হয়েছে, অনেক বৈষম্য ও পশ্চাৎপদতার শিকার হয়েছে। কিন্তু শক্তির জায়গা হচ্ছে এই সকল বাধা অতিক্রম করে নারী কিন্তু তার সফলতা ও জয়ের গল্প রচনা করেছে।”
ইতিহাসে যেসব নারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাদের সেই অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার উপর জোর দেন শিরীন শারমিন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় নারীদের নিয়ে এক ধরনের দ্বৈততা রয়েছে। একদিকে আমরা নারীকে মা বলে ডাকি, দেবী দুর্গা তার প্রতীক। তার পূজা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিকভাবে নারীর অবস্থা শোচনীয়। এই যে দ্বৈততা, তার অবসান প্রয়োজন।”
তিনি ইতিহাস চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সঠিক ইতিহাস ছাড়া যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ ও সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
এবারের ৪৯তম আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘ইতিহাসে নারী : দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গ’। এ বিষয়ে ভারতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা তাদের গবেষণা প্রবন্ধ তুলে ধরেন।