আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা পলিটিশিয়ানের সীমানা পেরিয়ে আজ বিশ্ব নেতা। শেখ হাসিনার হাতে যতদিন দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশকালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর বাসসের
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেকে একজন রাজনীতিবিদের গণ্ডি পেরিয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজের উত্তরণ ঘটিয়েছেন। একজন রাজনীতিবিদ কেবল পরের নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেন, কিন্তু একজন রাষ্ট্রনায়ক চিন্তা করেন আগামী প্রজন্ম নিয়ে। কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিবিদের সীমানা পেরিয়ে একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের দক্ষতা অর্জন করেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৩টায় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি সকল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বের চারজন পরিশ্রমী রাষ্ট্রনায়কের একজন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী, সৎ, দক্ষ, কূটনৈতিক, জনপ্রিয় রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদমুক্ত দেশ গড়বো। এটাই আমাদের আজকের শপথ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর তারই কন্যা শেখ হাসিনা সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছেন। গত ৪৪ বছরে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। তিনি ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দেশকে গড়ে তোলার কাজ করেছেন। কোন্দলে জর্জরিত দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং আন্দোলনের মাধ্যমে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেই অবস্থা থেকে দেশকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় প্রধানের চিন্তা ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণকে যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করছেন। তাই আজ তার নেতৃত্বে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তার মাধ্যমে আমাদের শুদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে, এটাই হোক আজকের অঙ্গীকার।’
অনুষ্ঠানে ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপিরবারে নিহত হওয়ার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনটি অনেক বড় হওয়ায় সেটি পাঠ না করে কাউন্সিলরদের প্রতি পুরো প্রতিবেদনটি পড়ার আহ্বান জানান।