শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার সূচকের বড় পতনের পর বুধবারও একই অবস্থা ছিল। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে প্রথম এক ঘণ্টায় সব শেয়ারের দর কমতে থাকে। সকাল ১১টা ৩৭ মিনিটে শেয়ার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে প্রায় ৫০ পয়েন্ট পতন হয়েছে, নেমেছে ৫২১০ পয়েন্টে। এরপর কিছু শেয়ারের দাম বাড়তে দেখা যায়।
এরআগে মঙ্গলবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ৭৮ শতাংশ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এতে বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে প্রায় ৬৩ পয়েন্ট পতন হয়, নেমেছে ৫২৬০ পয়েন্টে এবং সূচক পতনের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে মাত্র ১০ শতাংশেরও কম এবং দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে ১৫ শতাংশেরও কম শেয়ারের দর বাড়ে।
বাজার সংশ্নিষ্টরা বলছেন, সোমবার শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কিছু মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পতন কোথায়, শেয়ারবাজার ঠিক অবস্থানেই আছে। এমন মন্তব্যের কারণেই দেশের দুই শেয়ারবাজারে আবারও বড় দরপতন হয়েছে।
বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সংস্থাটি আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কিছু প্রণোদনার জন্য সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে অন্তত ৫০ হাজার টাকা করা, দ্বৈত করনীতি সংশোধন এবং শেয়ার লেনদেনে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। বুধবার লিখিত আকারে এসব প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে বিএসইসি।