করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সারা দেশে শোকাবহ অগাস্টের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ যৌথ সভায় দেশবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে ও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আলোচনাসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানাননো হয়েছে বলেও জানান কাদের।
সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্ট মাসে আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচি রয়েছে। ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এছাড়া ৫ আগস্ট জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মদিন, ৮ আগস্ট বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন করে আওয়ামী লীগ।
“এছাড়া ১৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়া যাবে।”
তিনি বলেন, “১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাথা। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, নির্মমতা ও ষড়যন্ত্রের দিক থেকে ১৫ আগস্টের ঘটনা অন্য সকল হত্যাকাণ্ডকে পেছনে ফেলেছে। এই হত্যাকাণ্ড থেকে বাদ পড়েনি অবুঝ শিশু থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারীও। ১৫ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার নীলনকশা ও ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।”
তিনি বলেন, “সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সৃষ্ট সংকট উত্তরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা রক্ষার জন্য মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন।”
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, “১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আবেগের দিন। শোক থেকে শক্তি সঞ্চয়ের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশমাতৃকার কল্যাণে আত্মনিবেদনের শপথে আবদ্ধ হওয়ার দিন।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান আনিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।