পিছিয়ে পড়ার পর লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি বার্সেলোনা। খানিক পর অঁতোয়ান গ্রিজমানের গোলে এগিয়েও যায় তারা। কিন্তু শেষ দিকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো আতলেতিকো মাদ্রিদ। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুবার জালে বল পাঠিয়ে অসাধারণ এক জয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠে গেল দিয়েগো সিমেওনের দল।
সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৩-২ গোলে জিতেছে আতলেতিকো। তাদের গোল তিনটি করেন কোকে, মোরাতা ও আনহেল কোররেয়া।
নতুন আঙ্গিকে এবার দেশের বাইরে হচ্ছে স্প্যানিশ সুপার কাপ। চার দলের প্রতিযোগিতার প্রথম সেমি-ফাইনালে বুধবার ভালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী ১২ জানুয়ারি একই মাঠে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে মাদ্রিদের দল দুটি।
ম্যাচের শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করা বার্সেলোনা ২২তম মিনিটে পায় প্রথম সুযোগ। জর্দি আলবার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে মেসির নেওয়া শট ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।
৩২তম মিনিটে বার্সেলোনার বিপদ হতে পারতো। তবে এক্তর এররেরার দারুণ ফ্রি-কিক পাঞ্চ করে ফেরান গোলরক্ষক নেতো। পাঁচ মিনিট পর লুইস সুয়ারেসের ভালো একটি শট প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে ফিরলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় আতলেতিকো। আনহেল কোররেয়ার ডি-বক্সে বাড়ানো বল ধরে দ্বিতীয় ছোঁয়ায় নিচু শটে গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোকে।
তাদের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিট পর মেসির নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। সুয়ারেসের ছোট পাস ধরে দুজনের মধ্যে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন তারকা।
৫৯তম মিনিটে আবারও জালে বল পাঠিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ফাঁকে বল তার হাতে লাগায় ভিএআরের সাহায্যে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান রেফারি।তিন মিনিট পর অবশ্য ঠিকই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। আলবার ক্রসে সুয়ারেসের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক, কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল লাফিয়ে হেডে ফাঁকা জালে পাঠান গ্রিজমান।
৬৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারতো। কিন্তু সুয়ারেসের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন ওবলাক। ৭৫তম মিনিটে জালে বল পাঠান পিকে; তবে এবার ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
৮১তম মিনিটে মোরাতার সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে আতলেতিকো। পাল্টা আক্রমণে একা ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ভিতোলোকে ঠেকাতে গিয়ে গোলরক্ষক নেতো ফাউল করে বসলে পেনাল্টিটি পায় সিমেওনের দল।
আর ৮৬তম মিনিটে পার্থক্য গড়ে দেন কোররেয়া। মাঝমাঠের কাছ থেকে বল ধরে দ্রুত এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। নেতো বলে হাত লাগালেও রুখতে পারেননি।
ডিসেম্বরে লা লিগায় আতলেতিকোর মাঠে মেসির শেষ দিকের গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। এবারও দলকে পথ দেখালেন অধিনায়ক; কিন্তু শেষটা সুখকর হলো না।
এই নিয়ে নতুন বছরে দুই ম্যাচ খেলে জয়শূন্য রইলো কাতালান ক্লাবটি। গত শনিবার এস্পানিওলের মাঠে শেষ দিকে গোল খেয়ে ২-২ ড্র করেছিল এরনেস্তো ভালভেরদের দল।