সংবাদপত্রশিল্প রক্ষায় সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

fakhrul-meeting-190820-01

করোনাভাইরাস মহামারীতে সংবাদপত্রশিল্প ‘খাদের কিনারে’ চলে গেছে উল্লেখ করে একে রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ কালীন পরিস্থিতিতে রুগ্ন সংবাদপত্রশিল্প আরও ভয়াবহভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। রুগ্ন সংবাদপত্রশিল্প এখন মুমূর্ষু অবস্থায়, এখন খাদের কিনারে। দেশে করোনা মহামারী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় সংবাদপত্রের বিক্রির সংখ্যা, বিজ্ঞাপন আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। রাজধানীসহ সারাদেশে অনেক সংবাদপত্র প্রকাশ বন্ধ হয়ে গেছে।

“এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সহজ শর্তে ঋণ ও প্রণোদনা প্রদান এবং সরকারের কাছে পাওনা বিপুল পরিমাণ বিজ্ঞাপনের বিল দ্রুত পরিশোধের মাধ্যমে এই মুহূর্তে সংবাদপত্রশিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”

সংবাদ কর্মীদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অনেক পত্রিকা তাদের কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছে না এবং প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংবাদকর্মী চাকরি হারাচ্ছেন।পত্রিকাগুলো নিজেদের টিকিয়ে রাখতে অত্যন্ত জোরেসোরে ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করেছে।

“চাকরি হারিয়ে কিংবা ক্রমাগত আয় কমে যাওয়ায় পত্রিকার নিরুপায় কর্মীরা দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। সংবাদপত্রশিল্পের কর্মীরা এখন এক ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছে।”

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাংবাদিকদের মৃত্যু ও আক্রান্ত অনেক সংবাদকর্মী চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এর দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, “নোয়াবের নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীর সাথে তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করার সময় মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হলেও কার্যত এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক কিছুই ঘটেনি।সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই।সংবাদপত্রের প্রতি বর্তমান সরকার সবসময় বৈরী মনোভাব পোষণ করে। হয়তো সেজন্যই তারা সংবাদপত্র শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের দাবি শুনেও না শোনার ভান করছে।”

“সরকার পরিকল্পিতভাবে এই খাতকে ধ্বংস করতে চায়। করোনার এই সংকটকালে অন্যান্য দুই একটি শিল্পকে কিছু প্রণোদনা দেয়া হলেও সংবাদপত্রশিল্পের প্রতি সরকার একেবারেই ভ্রুক্ষেপহীন।”

সংবাদপত্রশিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট শুল্ক ও ভ্যাট নোয়াবের দাবি অনুযায়ী নির্ধারণের দাবিও জানান তিনি।

Pin It