সফটওয়্যার নির্মাতাদের সংগঠন বেসিসের উদ্যোগে প্রথবারের মতো দেশের সফল নয় নারী ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ‘লুনা শামসুদ্দোহা পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজন সফল নারীকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
রোববার রাতে ঢাকার র্যাডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার ও সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সঞ্চালনায় পরিচালিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
যে নয়জন সফল নারীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি আমেনা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক হাসিনা খান।
মাইক্রোসফ্ট বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান এবং লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডি মনি বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবির, ডা. রওশন আরা খানম, হুমায়রা আজম, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান এবং বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ঘাটক সেঁজুতি সাহাও পুরস্কৃত হয়েছেন।
পুরস্কার জেতা দুই প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জেনেক্স ইনফোসিস এবং বিজে আইটি সফটওয়্যার ও আইটি ডেভেলপমেন্ট।
অ্যাডকমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপক সফলতার গল্প তৈরী হয়েছে। আর্থ সামাজিক ও রাজনীতিসহ সবদিক দিয়েই নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। আমাদের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর ব্যাপক অবদান রয়েছে।
“তবে এখনও নারীর ক্ষমতায়ন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। দক্ষতা, সুযোগের সদ্ব্যবহারের সক্ষমতা এবং প্রতিভা দিয়ে নারীকে এগিয়ে যেতে হবে।”
দীপু মনি বলেন, নারীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। কিন্তু সেই তুলনায় দৃশ্যমানতা কম।
সংসারের পিছুটানে নারী আরও এগিয়ে যেতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।