অবসাদ, ক্লান্ত আর ঘুম ঘুমভাব সারাক্ষণ লেগেই থাকলে হয়ত শরীর অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ক্লান্ত, নির্জীব বা আলসেমি লাগার নানান কারণ থাকতে পারে। তবে সব সময় এরকম বোধ করা ভালো লক্ষণ নয়।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও বিশ্রামের মাধ্যমে এই সমস্যা হয়ত দূর করা সম্ভব। তবে তার আগেও বোঝা দরকার শরীরে সমস্যাটা কোথায়।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় পুষ্টিবিদ পুজা বঙ্গের দেওয়া কয়েকটি পরামর্শ এক্ষেত্রে অনুসরণ করা যেতে পারে।
লৌহের ঘাটতি: শরীর ক্লান্ত লাগার অন্যতম কারণ হল আয়রন বা লৌহের স্বল্পতা। লৌহের ঘাটতি থাকলে সারাদিন ঘুমালেও কোনো লাভ নেই। গর্ভবতী ও পিরিয়ড চলাকালীন লৌহের ঘাটতি বেশি দেখা দেয়। তাই এই সময়ে বেশি করে শাক সবজি ও সালাদ খাওয়া প্রয়োজ়ন।
ঘুমের অভাব: ঘুমের অভাব বা দেরিতে ঘুমানো ক্লান্তিভাব সৃষ্টি করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। তা না হলে শরীর ক্লান্ত ও নির্জীব লাগে। আর সারাদিন ঘুম পায়। যা শরীর ও ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর।
অস্বাস্থ্যকর বা সামঞ্জস্যহীন খাদ্যাভ্যাস: আমরা যা খাই তা-ই আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলে। খাবারের পরিমাণ ও গুণগত মান শরীরে সতেজ ও দুর্বল অনুভূতির ওপর প্রভাব রাখে।
পানি শূন্যতা: পানি শূণ্যতার মানে হল শরীরে পানির ঘাটতি হওয়া। এর ফলে মাথা ব্যথা, ব্যথা, অবসাদ ও দুর্বলতা দেখা দেয়। দেহের মূল অংশ পানি। তাই পানির স্বল্পতা দেখা দিলে শরীরে দুর্বলতা ও ক্লান্তভাব দেখা দিতে পারে।
বাড়ন্ত শরীর: নির্ভর করবে বয়সের ওপর। শরীরের বয়স বাড়ার সঙ্গে শক্তি খরচের পরিমাণও বাড়ে। এক্ষেত্রে সঠিক শক্তি খরচ অনুযায়ী খাবার না পেলে অল্প কাজ করলেও দ্রুত দুর্বলভাব দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত শরীরচর্চা: অনেকক্ষণ শরীরচর্চা করলে মনে হবে দেহে আর শক্তি নেই। ফলে ক্লান্ত ও নির্জীব লাগে।
শরীরচর্চা না করা: অন্যদিকে আলসেমি লাগার অন্যতম কারণ হল শরীরচর্চা না করা। ব্যায়াম শরীরের ক্যালরি খরচ করতে ও শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। সারাদিন কোনো কাজ করা না হলে তা আলসেমি ও ঘুম ঘুমভাবের সৃষ্টি করে।
গরম ও অসুস্থতা: অনেকক্ষণ উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে থাকলে ক্লান্ত অনুভূত হতে পারে। এই সময় মাথা ব্যথা ও দুর্বলভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। একইভাবে অসুস্থ থাকলেও ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব শক্তির স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তাই এসব লক্ষণকে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
চাঙা অনুভূতির জন্য
শক্তিশালী ও সতেজ অনুভবের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। এতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। শরীরকে আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন।
নিয়মিত শরীরচর্চা শরীর ও মন সুস্থ রাখে। পাশাপাশি দেয় সতেজ অনুভূতি।