সম্পদ স্থানান্তরে বছরে ৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার কর হারাচ্ছে বাংলাদেশ

image-201191-1606102500

বিশ্বব্যাপী অপেক্ষাকৃত বেশি আয়কর রয়েছে, এমন দেশ থেকে অপেক্ষাকৃত কম করের দেশে মুনাফা, সম্পদ নানা কায়দায় স্থানান্তরের মাধ্যমে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশও ক্ষতির তালিকায় রয়েছে। কর ফাঁকি রোধে কাজ করা আন্তর্জাতিক ফোরাম ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরে সম্পদ ও মুনাফা স্থানান্তরের মাধ্যমে ৭০ কোটি ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ কর হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে যুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ও ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের একটি অংশ। বাংলাদেশ যে পরিমাণ কর আদায় করে থাকে, এটি তার প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ। অন্যদিকে হারানো কর দেশের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের প্রায় ৬২ শতাংশ। এটি ৩ লাখ ৯২ হাজার নার্সের এক বছরের বেতনের সমান অর্থ।

ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক (টিজেএন) গত শুক্রবার বিশ্বব্যাপী কর ন্যায্যতা নিয়ে প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অব ট্যাক্স জাস্টিস-২০২০ : ট্যাক্স জাস্টিস ইন দ্য টাইম অব কোভিড-১৯’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

টিজেএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব দেশে করহার শূন্য কিংবা একেবারেই কম, সেসব দেশে এই অর্থ চলে যায়, যা ট্যাক্স হেভেন বা করের স্বর্গ নামে পরিচিত। বছরে এই প্রক্রিয়ায় কর ফাঁকির পরিমাণ ৪২৭ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ নার্সের সারা বছরের বেতনের সমান। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এক বছরে ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি ডলারের মুনাফা তাদের মূল কোম্পানির পরিবর্তে ট্যাক্স হেভেনে স্থানান্তর করে ২৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার কর ফাঁকি দিয়েছে। ব্যক্তি করদাতারা এ প্রক্রিয়ায় ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলারের কর এড়াতে পেরেছেন।

টিজেএনের প্রতিবেদনে করের স্বর্গ বিবেচনায় যে ১৫টি দেশে সবচেয়ে বেশি অর্থ গিয়েছে সেগুলো হলো—কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, হংকং, ফ্রান্স, ইতালি, জার্সি, বারমুডা, সিঙ্গাপুর, পানামা ও সুইজারল্যান্ড।

Pin It