আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনের আগে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। আর নতুন বছরে কোনও পরিবর্তন আসবে কিনা সেটি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে।
সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের সভাপতি পদে পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। নেত্রী তো বারবার বিদায় নিতে চান। তিনি যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া যায় না। আমাদের দলে কেউ বাদ যায় না, দায়িত্বের পরিবর্তন হয়।
সাধারণ সম্পাদক পদে নিজের দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে দলের দায়িত্ব পালন করব। দায়িত্ব পালনে আমি কোনো চাপের মুখে নেই। আমি শারীরিকভাবেও সুস্থ আছি। জেলা পর্যায়ের সম্মেলনগুলোতে প্রতিদিন যাচ্ছি। আমি নোট দেখে বক্তব্য দিই না। মন্ত্রণালয় ও দলিলের সব চিত্র আমার জানা আছে। ইউনিয়ন-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। প্রয়োজন হলে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেও কথা বলি, নির্দেশনা দিই।
তিনি বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি জেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জেলা পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হবে। এর মধ্য দিয়ে ৩০ থেকে ৩২টি জেলার সম্মেলন শেষ হবে। বাকিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি। কারণ সম্মেলন হলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে পুরো কমিটি গঠন করা হয়।
দলে নারী নেতৃত্বের ৩০ শতাংশ কোটা এখনও পূরণ হয়নি সে বিষয়ে কী ভাবছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় আছে। বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। নারী নেতৃত্ব ও প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা করছি।
নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়ন সম্পর্কে শাজাহান খানের হুমকির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বক্তব্য আসাটা ভিন্ন। তিনি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা, তাদেরকে খুশি রাখতেও কিছু কথা বলতে হয়। আমাদের কাছেও তিনি এসব কথা বলেননি। সরকারের বিপদে পড়ার কোনো বিষয় নেই।