ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী এই অভিযানে যারাই আটক হবে, তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হবে। সে হিসেবে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রোববার দুপুরে সম্রাটের বাসা ও কার্যালয়ে একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার-বিন-কাশেম সাংবাদিকদের জানান, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর আলোচনার আসে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ অনেকের ধারণা ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক সম্রাট। এছাড়াও সম্রাটের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান নেন সম্রাট। সেখানে অবস্থানকালে শতাধিক সমর্থক তাকে পাহারা দিয়ে রাখেন। এরপর সম্রাটের অবস্থান নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায় সম্রাট তাদের নজরদারিতে আছেন। এরই মাঝে গত ২২ সেপ্টেম্বর সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তলব করা হয় তার ব্যাংক হিসাবও।