করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকার এ পর্যন্ত সারা দেশে যে ত্রাণ বিতরণ করেছে তার উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি।
৬৪টি জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
সেখানে বলা হয়, ২২ মে পর্যন্ত সারা দেশে ত্রাণ হিসেবে এক লাখ ৮২ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন।
এতে উপকারভোগী এক কোটি ২৫ লাখ দুই হাজার ৯৪৮টি পরিবারের পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৯ জন।
মন্ত্রণালয় বলছে, ত্রাণ হিসেবে নগদ ৮১ কোটি ৭৩ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৬৯ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা।
এই নগদ টাকায় ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৭২টি পরিবারের উপকারভোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৫১ লাখ ২১ হাজার ৫৪৭ জন।
এছাড়া শিশুদের খাদ্য কিনতে নগদ ২২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৫ হাজার ৩৬ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৬টি পরিবারের উপকারভোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৬ জন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস আদালত বন্ধ রেখেছে, আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণা করা আছে।
এই সময় গণপরিবহনও বন্ধ থাকা রাখা হয়েছে এবং কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। ফলে বেশিরভাগ শ্রমজীবী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
এই কর্মহীনদের পাশরাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য সরকার ধাপে ধাপে নগদ টাকা এবং চাল বরাদ্দ দিচ্ছে।