সরকারি হিসাবে কমেছে মূল্যস্ফীতির হার

image-642454-1675702543

বাজারে পণ্যমূল্য হু হু করে বাড়লেও সরকারি হিসাবে কমেছে মূল্যস্ফীতির হার। বলা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রবণতা কমেছে। জানুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে, যা ডিসেম্বর মাসে ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এ সময় (জানুয়ারি) খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহিভর্‚ত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হারও কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তবে গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় এ বছর জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে অনেক।

২০২২ সালের জানুয়ারি সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সংস্থাটি।

বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি এবং সরকারের পক্ষ থেকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পরেও মূল্যস্ফীতি কমে কীভাবে-এমন প্রশ্নের জবাব দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

তিনি সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রভাব তো তাৎক্ষণিকভাবে মূল্যস্ফীতিতে পড়বে না। একটু সময় লাগবে। বাজারে অনেক জিনিসের দাম বেড়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু দেখতে হবে মূল্যস্ফীতির হিসাবে যেসব পণ্য ধরা হয় সেগুলোর দাম কতটা বেড়েছে। এখানে অনেক পণ্যই ধরা হয়। কোনোটার দাম বাড়লেও আবার কোনোটা স্থিতিশীল বা কমতেও পারে। সেই সঙ্গে বাজারে শাকসবজি এসেছে। তারও একটি প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকের মজুরি হারও বেড়েছে। এ ছাড়া আমাদের রপ্তানি আয় গত বছরের ৬ মাসে তুলনায় এ বছরের ৬ মাসে ২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। সেই সঙ্গে গ্যাসের দাম তো একবারে বাড়ানো হয়নি, ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশে, যা ডিসেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ১১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।

এদিকে শহর এলাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা ডিসেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।

Pin It