সরকারের দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি চাপা দিতে ভিন্নমতের মানুষদের ওপর নির্বিচারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ তুলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকার নানা ধরনের ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ মানুষকে গেলানোর চেষ্টা করছে বলেও বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, “মানুষের মুখ বন্ধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হিড়িক চলছে। দুর্নীতির বহু দৈত্যাকার কেলেঙ্কাকারির কথা যেন মানুষ জানতে না পারে এজন্যই মুক্তচিন্তার মানুষদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।
“শাসকের বিরোধিতা করার অর্থ রাষ্ট্রের বিরোধিতা করা নয়। আর এজন্য নিরাপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ড্রাকোনিয়ান আইনের প্রয়োগ করা গুরুতর অন্যায় ও পাপ বলে আমরা মনে করি।”
কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সরকারের সমালোচনার জন্য গত তিন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, স্কুলশিক্ষার্থী ও নারীসহ প্রায় ২০০ জনকে আটক করার তথ্য তুলে ধরেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নিজস্ব একটা পরিমার্গ আছে, সেটি হলো বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সহ্য না করা। তাদের ঐতিহ্য হচ্ছে ছলেবলে কৌশলে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের আলোকে কেড়ে নিয়ে নিজেদের দলীয় শাসনকে রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা। এখানে ভিন্ন দল ও মতের অস্তিত্বকে তারা কোনো মতেই মনে নিতে পারে না।
“আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই তারা মনে করে দেশের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা। দেশটাকে পৈত্রিক সম্পত্তি বলে তারা মনে করে। তারা দম্ভে ও গর্বে আত্মস্ফীত। সেজন্য বাকশালের বেওয়ারিশ লাশকেই কাঁধে নিয়ে ঘুরের বেড়ায় তারা।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকার মানুষে কাছে নানা ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’ উপস্থাপন করে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যলায়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।