করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সরকারের সকল উদ্যোগই ‘বড়লোক-টাকাওয়ালা’দের জন্য নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সেটা পাবেন কারা? ব্যবসায়ীরা। এই ব্যবসায়ী কে? এরা ব্যাংকের মালিক, এরা গার্মেন্টসের মালিক। যা কিছু হচ্ছে সব বড় লোকদের জন্য। আজকে আমরা শুনতে পারছি- টাকাওয়ালা লোক, বড়লোক- তাদের জন্য স্পেশাল হাসপাতাল বানানো হচ্ছে যদি করোনা হয় সেখানে তারা যাবে।
“আর গরিব মানুষের জন্য, নিরন্ন মানুষের জন্য কোনো ব্যবস্থা সরকার করেনি। গরিব মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, প্রান্তিক মানুষ ওরা মরে যাক, রাস্তার মধ্যে ওদের লাশ থাকুক-এটা হচ্ছে এই সরকারের নীতি।”
বিত্তবানদের আলাদা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হলে তা সংবিধানপরিপন্থি হবে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “আজ হাহাকার চলছে সারা দেশে। সরকারি ত্রাণ যা জনগণের টাকা দিয়ে কেনা সেসব ত্রাণ আজকে আওয়ামী লীগের নেতার বাড়ি থেকে, তাদের খাটের নিচ থেকে বেরুচ্ছে, হাজার হাজার, শত শত বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি থেকে বেরুচ্ছে।
“অন্যদিকে ক্ষুধার জ্বালায়, নিম্ন আয়ের মানুষ, দিনমজুর তারা আজকে খাওয়া না পেয়ে মারা যাচ্ছে, লাশ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটে। সিরাজগঞ্জের একটি বাচ্চা মেয়ে খাবার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই পরিস্থতি চলতে পারে না।”
পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি না নেওয়ার জন্য সরকারের ব্যর্থতা ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাধ্যমত নিরন্ন মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “আমরা বার বার বলেছি, আজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কি বিএনপি, কি আওয়ামী লীগ, কী অন্যান্য সব রাজনৈতিক দল, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সব দল, আমরা সবাই মিলে এই যে মহামারী, এই যে বিপদ এটাকে আমরা সামাল দেই। যেটা দেখতে পারছি সরকার সেটা শুনছে না।”
বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্থানীয় বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম কানন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা আওলাদ হোসেন উজ্জ্বলসহ স্থানীয় যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্র দলের নেতারা সেখানে ছিলেন।