বিএনপির সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগকে বিতর্কিত করার জন্যই সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে আয়োজিত এক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিনাভোটে ক্ষমতায় থেকে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে তাদের দলীয় বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা এমনভাবে পরিবর্তন করেছে, সেই ধারাগুলো নাকি ভবিষ্যতের কোন সংসদে পরিবর্তন করা যাবে না। এ ধরণের ধারা সংবিধানের যুক্ত করা সম্পূর্ণ বেআইনী। তাই বিএনপি ২৭ দফা দাবিতে সংবিধান সংস্কার কমিশন করা কথা বলেছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষসহ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের অজুহাতে জাতিকে দুভাগে বিভক্ত করেছে। বিএনপি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে রংধনুর সাত রংয়ের মত রেইনবো ন্যাশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গড়ব।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া নির্বাচনে অংশগ্রহন নিয়ে রুমিন বলেন, সরকার বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগকে বিতর্কিত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে দাঁড় করিয়েছে। সরকারের একটি চাপ আছে তার ওপর। সরকার যেকোনোভাবে আমাদের পদত্যাগকে বিতর্কিত করতে চায়। সরকার সেটা সফলভাবে করেছে। তাকে চাপ দিয়ে এই নির্বাচনে আনা হয়েছে। আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ।
এছাড়াও এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, রফিক শিকদার, সালাউদ্দিন শিশির, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।