সরকার জনগণকে ভয় পায়: মঈন খান

moin-khan-samakal-5e4926c8d723f

ক্ষমতাসীন সরকার দেশের জনগণকে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দবিতে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, এই সরকার জনগণকে ভয় পায়। আজকে খালেদা জিয়াকে যে মামলায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার কোন প্রমাণ সরকার দেখাতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমরা সভা, সেমিনার, মানবন্ধন করি। দুই বছর হয়ে যাচ্ছে তবুও আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে পারিনি। কেন পারিনি? আজকে যদি গণতন্ত্র এভাবে বন্দি থাকে তাহলে কেন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল দেশের জন্য।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের এক লক্ষ এক হাজার মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দেওয়া হয়েছে। এই মামলা দেওয়ার কারণ ছিল এই সরকার ক্ষমতায় আসার জন্য।

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের বাস্তবতাকে অস্বীকার করে আমার বিশ্বাস হয় না খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে পারবো। আজকে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কী তা পর্যালোচনা করেই আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কিভাবে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবো। আমরা কোনও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই না। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী।

প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সময়ে রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি। তিনি সারাদেশের নেত্রী। আমি যখন কারাগারে ছিলাম তখন তিনি সবসময় যেতেন। তাকে মুক্তি দেওয়া আইনে কোন বাধা নেই। তিনি জামিনতো পেতে পারেন।

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মতো একজন নেত্রীকে মুক্তি দিতে বিএনপি কি কর্মসূচি দিতে পারে আমি দেখতে চাই। রাজপথে না নামলে তার কোনও মুক্তি হবে না। তিনি একজন সফল নেতা। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারী। তার পাশে কোটি কোটি মানুষ আছে। সংঘবদ্ধ হয়ে আপনাদের লড়তে হবে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঠে সোচ্ছার থাকতে হবে। তবেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে।

গণতন্ত্র ফোরামের আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির নির্বাহি কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদসহ সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরা।

Pin It