বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশকে ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনি বানিয়ে ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে এবং গ্রেপ্তার করে কারাগারগুলো ভরে ফেলা হচ্ছে। আইনের শাসনের নূ্যনতম প্রয়োগ নেই বলেই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। এতে ফেনী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রাসেল পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তির দাবিও করেন তিনি।
আরেক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে ঢাকায় গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন আড়াল করার উদ্দেশ্যে সরকার এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারপর এর দায়-দায়িত্ব বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট মামলা করা হয়েছে। বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের নামে বাসাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আসবাব ভাঙচুরসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে হাসপাতালে বা বাসায় দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশনে আছেন, এমনকি দুই বছর ধরে পঙ্গু হয়ে পড়েছেন এমন নেতাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী নেতাকর্মীদের এসব মিথ্যা অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ীই যদি আসামি করা হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্ন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অসুস্থ, আহত, চিকিৎসাধীন কিংবা ঢাকার বাইরে ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মামলায় আসামি করা হলো কিসের ভিত্তিতে? এই মামলাগুলো যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট, তা সুনিশ্চিত।