কন্ডিশনের ছোঁয়া ছিল। তারপরও আয়ারল্যান্ডের ৩২৭ রানকে বড় সংগ্রহ বলতে হবে। ওই রান তাড়া করে জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও দিতে হবে কৃতিত্ব। উইকেট যতই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিক, তিনশ’ ছাড়ানো রান তাড়া করে জেতা সহজ কথা নয়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকে সাবলীল খেলে গেছে। তুলে নিয়েছে ৫ উইকেটের বড় জয়। বুঝিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডে বিশ্ব আসরের জন্য তারা প্রস্তুত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুই ওপেনার শাই হোপ এবং সুনীল আমব্রিস ভালো জুটি গড়েন। দু’জনে তোলেন ৮৪ রান। এরপর ৩০ রানে ফিরে যান হোপ। কিন্তু আমব্রিস এ ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। তিনি মাত্র দ্বিতীয়বার ওয়ানডেতে ওপেন করতে নেমে খেলেন ১৪৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার ওই ইনিংসে জয়ের কাছে চলে আসে ভয়হীন ক্রিকেট খেলা ক্যারিবিওরা।
তবে ড্রারেন ব্রাভো এ ম্যাচে ব্যর্থ হন। ফেরেন মোটে ১৭ রান করে। চারে ব্যাট করে রোস্টন চেজ খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি ফিফটি করে আউট হন। পরে জেসন হোল্ডরও ২৪ বলে ৩৬ রান করে আউট হন। তবে জোনাথন কার্টার ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন।
এর আগে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড অ্যান্ডু বালবার্নির ১৩৫ রানের দারুণ ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায়। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান করে তারা। সঙ্গে পল র্স্টারলিং ৭৭ এবং কেভিন ও’ব্রেইন ৬৩ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল দুটি এবং হোল্ডার, কার্টার এবং কটরেল একটি করে উইকেট নেন। আয়ারল্যান্ডের বয়েড র্যাংকিং নেন তিন উইকেট।