টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোনের সঙ্গে ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক (এনডোরসমেন্ট) চুক্তি করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাচ্ছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যে কোনো বাণিজ্যিক চুক্তির আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বোর্ডের অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম। টেলিকম কোম্পানির ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি কড়াকড়ি। নিয়ম লঙ্ঘন করে মোবাইল কোম্পানির পণ্য-দূত হওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বলেন, এই ইস্যুতে সাকিবকে কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না।
রবি জাতীয় দলের স্পন্সর থাকার সময় গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপন করেছিলেন জাতীয় দলের কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার। রবি এতে আপত্তি করায় ক্রিকেটারদের চুক্তি বাতিল করার নোটিশ দেয় বিসিবি। কোনো ধরনের টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা যাবে না বলে শর্ত জুড়ে দেয় বোর্ড। তবে সেটা চিরস্থায়ী ব্যবস্থা কি-না, সেটা বলা হয়নি। এই নিয়মের কারণে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল গ্রামীণফোনের সঙ্গে বিজ্ঞাপনী চুক্তিতে যেতে পারেননি। বিসিবির সঙ্গে সাংঘষিক বা স্বার্থ পরিপন্থি কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করতে পারবেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। স্বার্থের সংঘাত না হলেও যে কোনো এনডোর্সমেন্টের আগে ছাড়পত্র নিতে হয়। গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তির আগে সাকিব বিসিবির অনুমতি নেননি বলে জানান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী।
গ্রামীণফোনের সঙ্গে সাকিবের চুক্তি বেআইনি বলে জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ ব্যাপারে তার বক্তব্য সুস্পষ্ট, ‘আমাদের যে আইন আছে কোনোভাবেই ওটা (চুক্তি) করতে পারে না। টেলিকম কোম্পানিও জানে, খেলোয়াড়রাও জানে। ওদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। কাজেই এটা কেন করল, সেটা জানতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। সে কারণে আমরা ওকে চিঠি দিচ্ছি। তবে একটা জিনিস হলো, সে কোনোভাবেই এটা করতে পারে না। সম্পূর্ণ বেআইনি।’