সাকিবকে টপকানোর সুযোগ মুস্তাফিজের

image-207061-1608127046

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ এখনো পর্যন্ত অসাধারণ কেটেছে মুস্তাফিজুর রহমানের। বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের পেসার। পরিসংখ্যানই যার প্রমাণ, ৯ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে রাজ করছেন আসরের উইকেট শিকারিদের তালিকায়। শুক্রবার জেমকন খুলনার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে তার বর্ণিল টুর্নামেন্টটি। ট্রফি জয়ের মঞ্চে মুস্তাফিজকে হাতছানি দিচ্ছে অনন্য এক কীর্তি।

কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের এক আসরের বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ডটি সাকিব আল হাসানের। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে (২০১৮-১৯) ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তবে ফাইনালে ৩ উইকেট পেলেই রেকর্ডটি নিজের করে নিবেন মুস্তাফিজ।

বল হাতে যেমন দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মুস্তাফিজ, তাতে ৩ উইকেট পাওয়া কঠিন কর্ম হবে না। তাছাড়া এবার নিজের বোলিংয়ের জন্য আদর্শ উইকেটও পেয়েছেন তিনি। লো বাউন্সের উইকেটেই মুস্তাফিজের বোলিংটা বেশি কার্যকর। স্লোয়ার কাটারগুলোও ক্ষুরধার হয়ে উঠেছে মিরপুরের উইকেটে। তবে বোলার হিসেবে সক্ষমতার ভালো পরীক্ষাও দিয়েছেন তিনি। রান খরচেও ছিলেন মিতব্যয়ী। বিশেষ করে ডেথ ওভারের সময় দেখা গেছে সেই পুরোনো মুস্তাফিজকে, যাকে সামলাতে খাবি খেত ব্যাটসম্যানরা।

চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিঠুনও দারুণভাবে ব্যবহার করেছেন নিজের অস্ত্রকে। পাওয়ার প্লে তে এক ওভার, পরে ডেথ ওভারে তিন ওভার করিয়েছেন মুস্তাফিজকে। তাতে প্রতিপক্ষের রানের চাকা টেনে ধরার কাজে সফল হয়েছে চট্টগ্রাম।

মুস্তাফিজ অবশ্য এমন পারফরম্যান্সের রহস্য খোলাসা করেননি। গত মঙ্গলবার পুরনো ছন্দে ফেরার রহস্য জানতে চাইলে বাঁহাতি এই পেসার বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছি প্র্যাকটিসটা ভালো করার। জিম বলে, ফিটনেস-রানিং চেষ্টা করেছি, কি করলে আমি আবারো আগের মত বোলিং করতে পারি। ওভারঅল এর আগে প্রেসিডেন্টস কাপ হয়েছিল ওখানেই সকলে কমবেশি ভালো বল করেছিল। বিশেষ করে পেস বোলাররা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও বোলাররা ভালো করেছে।’

Pin It