ঢাকা ডায়নামাইটসকে কেউ কেউ রসিকতা করে ডাকেন ‘কমিটির টিম’ নামে! দলটির স্বত্বাধিকারী যেহেতু বেক্সিমকো গ্রুপ, বিসিবি সভাপতি ও বিসিবির শীর্ষ কয়েকজন প্রভাবশালী পরিচালক সরাসরি যুক্ত এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে। সুযোগ-সুবিধা কিংবা অর্থ ব্যয়ে সব সময়ই প্রথম সারিতে থাকে ঢাকা।
কাগজ কলমেও ঢাকা ভীষণ শক্তিশালী। ২০১৬ চ্যাম্পিয়ন আর গতবারের রানার্সআপদের নেতৃত্বে আছেন সাকিব আল হাসান। আছেন তিন ক্যারিবীয় তারকা—আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড ও সুনীল নারাইন; যাঁরা একাই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের চেহারা। অথচ এই তারকা ক্রিকেটাররা থাকা সত্ত্বেও ঢাকার এ কী হতশ্রী চেহারা! শেষ চারে ওঠা নিয়েই তাদের টানাটানি।
ঢাকা টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল কী দাপটে! যে পাঁচটা ম্যাচ তারা জিতেছে, এর চারটিই নিজেদের প্রথম চার ম্যাচে! অর্থাৎ শুরুতেই তারা জিতেছে টানা চার ম্যাচ। ১৮ জানুয়ারি সিলেটের বিপক্ষে জেতার পর ঢাকা যেন জিততেই ভুলে গেছে। টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে এখন শেষ চারের সম্ভাবনা ঝুলে আছে পেন্ডুলামের মতো। দলে তারকা ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি, অতীত রেকর্ড সব সময়ই ভালো। টুর্নামেন্টের শুরুটা দুর্দান্ত। তবুও কেন এই হাল সাকিবের ঢাকার? দলের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান কোনো কূটনৈতিক উত্তর দেননি, সরাসরি বললেন, ‘শুরু করেছিলাম খুবই ভালো। শেষ দিকে এসে বাজেভাবে কয়েকটা ম্যাচ হেরে গেছি। ছন্দ ফিরে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কাল জিততে পারলে হয়তো একটা সুযোগ আসবে শেষ চারে যাওয়ার। যেতে হলে কাল খুব ভালো খেলতে হবে। এমন পরিস্থিতে অজুহাত দেওয়ার কিছু নেই। আমরা খুব বাজে খেলছি।’
আজ কুমিল্লার বিপক্ষে কেন ১২৮ করতে পারলেন না, এ প্রশ্নে নুরুল দলের টপ অর্ডারকেই দায়ী করলেন, ‘এ ধরনের উইকেটে লো স্কোরিং ম্যাচে টপ অর্ডারের একজন দায়িত্ব নিয়ে শেষ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। চার-ছক্কা মারার দরকার ছিল না। শুধু বলে বলে রান নিলেই হতো। নতুন ব্যাটসম্যানদের উইকেটে এসেই কিছু করা কঠিন হয়ে যায়, ওপরের থেকে কেউ একজন দায়িত্ব নিয়ে খেললেই অন্যরকম হতো।’
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ঢাকার সামনে একটাই সুযোগ, কাল খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে জিততেই হবে। না হলে তাদের পেছনে ঠেলে শেষ চারে চলে যাবে রাজশাহী কিংস। সাকিবদের অনুপ্রাণিত করবে টুর্নামেন্ট থেকে এরই মধ্যে বিদায় নেওয়া খুলনার বাজে পারফরম্যান্স। আবার চিন্তাও আছে, পচা শামুকেই না পা কাটে !