ঘরের মাঠে শেষ তিন টেস্টে প্রতিপক্ষের ৫৭ উইকেটের ৫৫টি নিয়েছেন স্পিনাররা। ওই তিন ম্যাচে বাংলাদেশ দলের স্পিন আক্রমণে ছিলেন সাকিব, মেহেদি মিরাজ, তাইজুল ইসলাম এবং নাঈম হাসান। তবে নিউজিল্যান্ডের উইকেটে স্পিনাররা সুবিধা করতে পারবেন না। ওদিকে স্পিনার এবং ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের অটোমেটিক চয়েজ সাকিব নেই সিরিজের প্রথম টেস্টে।
ইনজুরির কারণে মুশফিকের প্রথম টেস্টে না খেলাটাও নিশ্চিত। ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়া বাংলাদেশ দলকে তাই টেস্ট সিরিজে দিতে হবে ভালো পরীক্ষা। সর্বশেষ বাংলাদেশ ১৩ বছর আগে দলের এই দুই স্তম্ভ ছাড়া টেস্ট খেলতে নেমেছিল। ম্যাচটি ছিল ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চট্টগ্রামে। এবার খেলতে হবে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটনে।
তবে টেস্টে বাংলাদেশ দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন মাহমুদুল্লাহ। অভিষেক টেস্টে এই নিউজিল্যান্ডে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রিয়াদ। এছাড়া ঘরের মাঠে উইন্ডিজ সিরিজেও সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডে বোল্টদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি আছে মাহমুদুল্লাহর। সঙ্গে তামিম যদি ফর্মে ফেরেন। অভিষেক টেস্টে ভালো করা সাদমান ইসলাম যদি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভালো করেন তবে ওয়ানডের ব্যর্থতা ভুলার উপলক্ষ্য পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ দল।
সাকিব-মুশফিককে ছাড়া কাজটা কঠিন তবে ইতিবাচক থেকে দলের খেলাটা খেলতে চান মাহমুদুল্লাহ, ‘আমরা ইতিবাচক থাকব, আক্রমণাত্মক থাকব। আমরা জানি, বোল্ট, সাউদি এবং ওয়াগনার কতটা ভয়ঙ্কর। উইলিয়ামসন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। টেস্টে তারা দ্বিতীয় সেরা দল। আমরা আমাদের সেরাটা খেলবো।’
নিউজিল্যান্ড হারাতে অবশ্য দলের সেরা খেলা দেওয়ার বিকল্প নেই। হ্যামিলটনে শেষ দুই টেস্টে সেঞ্চুরি আছে রস টেইলরের। বিজে ওয়াটলিং দেশের সেরা টেস্ট উইকেটরক্ষক হওয়ার পথে আছেন। টেস্টে ১৯৭ ডিসমিসাল তার নামের পাশে। তার আগে আছেন অ্যাডম পেরোরি (২০১)। এসবের বাইরেও সতর্ক উইলিয়ামসন, ‘র্যাংকিং মাঝে মাঝে নিয়ন্ত্রনে থাকে। কখনো থাকে না। ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে এসব পক্ষে যায়। মাঠে যে কেউ যে কোন দলকে হারাতে পারে।’
নিউজিল্যান্ড একাদশ (ঘোষিত): টম ল্যাথাম, জেট র্যাভেল, কেন উইলিয়ামসন (অধি.), রস টেইলর, হেনরি নিকোলাস, বিজে ওয়াটলিং (উইকেটরক্ষক), কলিন ডি গ্রান্ডহোম, টোড অ্যাস্টল, নেইল ওয়াগনার, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট।
বাংলাদেশের সম্ভব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সামদান ইসলাম, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ (অধি.), মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সৌম্য সরকার, মেহেদি মিরাজ, খালেদ আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন।