করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটির পাঁচ দিন লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। আর অফিস চলবে দেড়টা পর্যন্ত। তবে এসময়ে ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হবে না। ব্যাংকগুলো যেসব শাখা খোলা রাখতে সেখান থেকে শুধুমাত্র নগদ জমা ও উত্তোলন করতে গ্রাহক শাখায় যেতে পারবেন। এছাড়া জরুরি বৈদেশিক লেনদেন করা যাবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারের মাধ্যমে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমিনুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল সরকারি সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সব ক্ষেত্রে দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি হবে সকাল ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্নিষ্ট শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের শুধুমাত্র সংশ্নিষ্ট বিভাগ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত নীতিমালা পরিপালন ও রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োজিত করে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা বহাল থাকবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আর শুধুমাত্র নগদ জমা ও উত্তোলনের জন্য অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের গ্রাহকদের লেনদেনের সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করে এক শাখা থেকে আরেক শাখার দূরত্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে হবে। অনলাইন সুবিধা বহির্ভুত ব্যাংকের শাখায় শুধুমাত্র নগদ জমা ও উত্তোলনের জন্য খোলা থাকবে। এর বাইরে শুধুমাত্র জরুরি বৈদেশিক লেনদেনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী (এডি) শাখা খোলা রাখা যাবে।
এর আগের এক নির্দেশনায় লেনদেনের জন্য শাখায় না গিয়ে এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেলস বা পস ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে বলা হয়। এজন্য গ্রাহকদের এসএমএস দিয়ে সতর্ক করতে বলা হয়। এরই মধ্যে অনেক ব্যাংক অন্য মাধ্যমে লেনদেনের জন্য গ্রাহকদের এসএমএস দিচ্ছে। যদিও অনেক গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে ভিড় করেন। মূলত ইউটিলিটি বিল, ডিপিএসের টাকা জমাসহ নানা কারণে তারা শাখায় যাচ্ছেন। কেউ-কেউ আগামীতে ব্যাংক বন্ধ হতে পারে এরকম আশঙ্কায় শাখা থেকে টাকা তুলছেন। আবার এক শ্রেণির লোক আগামীতে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে কিনা এরকম ধারণা থেকে টাকা তুলছেন।