সাফজয়ীদের আকর্ষণীয় বোনাস দেবে বাফুফে, জানালেন ইমরুল

1730387853.bff-4

টানা দ্বিতীয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করে দেশে ফিরেছে নারী ফুটবল দল। গত আসরের পর এবারও দেশে ফিরে নিজেদের কৃতিত্বের জন্য পুরস্কৃত হচ্ছেন ফুটবলাররা।

ইতোমধ্যেই ক্রীড়া মন্ত্রনালয় থেকে ১ কোটি টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নব নির্ববাচিত সিনিয়র সহ সভাপতি ইমরুল হাসান জানিয়েছেন শিগগিরই নারী দলের জন্য আসছে আকর্ষণীয় পুরস্কারের ঘোষণা।
আজ নারী ফুটবল দল বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে শহর প্রদক্ষিণের পর বাফুফে ভবনে আসে। সেখানে ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি ইমরুল হাসানও। কোনো কর্মকর্তা নয়, ফুটবলপ্রেমী হিসেবেই ভবনে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইমরুল বলেন, ‘আমি এখানে ফুটবলের সমর্থক হিসেবে এসেছি, কোনো কর্মকর্তা হিসেবে নয়। আপনারা যেমন ফুটবলকে ভালোবেসে এখানে এসেছেন আমিও তেমনটাই। ’

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নারী ফুটবলারদের জন্য কোনো আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা আসবে কি না? এমন প্রশ্নের জবানে ইমরুল বলেন, ‘আজ ক্রীড়া উপদেষ্টা তাদের পক্ষ থেকে একটি ঘোষণা দিয়েছেন। আমারও আমাদের পক্ষ থেকে নারী ফুটবল দলকে পুরস্কৃত করব। পুরস্কারের অংকটা এখনই আমি বলতে চাচ্ছি না। তবে এটা বলতে পারি আমরা আকর্ষণীয় পুরস্কারের ঘোষণাই দেব। মেয়েরা হতাশ হবে না। ’

‘মাত্রই নতুন কমিটি দায়িত্বে এসেছে আগামী ৯ তারিখ আমাদের নির্বাহি কমিটির প্রথম সভা রয়েছে। সভা শেষে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব। তখনই ঘোষণা দেওয়া হবে। ’

নারী লিগ নিয়ে রয়েছে নানান অভিযোগ। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে ফুটবলারদের বেতন-ভাতা বকেয়া থাকা নিয়েও। এসব অভিযোগের দ্রুতই সমাধান করা হবে, এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি।

তিনি বলেন, ‘নারী লিগ নিয়মিতই আয়োজিত হচ্ছে। এই লিগ যেন আরও ভালো ভাবে আয়োজিত হয় আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করবো। এছাড়া বেতন ভাতা বকেয়া থাকলে আমরা দ্রুতই সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব। বেতন বকেয়া থাকবে এটা কারোই কাম্য নয়। ’

‘আমরা তিন মৌসুমে নারী লিগে অংশ নিয়েছি। তিন মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। গত আসরে কিছু অনিয়মের প্রতিবাদ স্বরূপ আমরা লিগে অংশ নিইনি। সব কিছু ঠিক হলে আমরা আবারও ফিরে আসতে পারি। ’

নারী ফুটবলের লিগে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়েছে বসুন্ধরা কিসং। তারা নারী ফুটবলারদের উন্নত ট্রেনিং থেকে শুরু করে আবাসন সবকিছুই নিশ্চিত করেছিল। নারী ফুটবলের উন্নয়নে ক্লাবগুলোর এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই। বসুন্ধরা কিংস অন্যান্য ক্লাবগুলোর জন্য একটি মাইলফলক তৈরি করেছে।

Pin It