সাহেদ এখন র‌্যাবের হাতে

55520200716131657

করোনাভাইরাস চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে রিমান্ডের মাঝপথে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সাহেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে গোয়েন্দা পুলিশই এ মামলার তদন্ত করে আসছিল। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলার দায়িত্ব র‌্যাবকে দেওয়ায় তাদের হাতেই সাহেদকে তুলে দেওয়া হল।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, “গোয়েন্দা পুলিশ আজ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। র‌্যাবই এখন এ মামলার তদন্ত করবে।”

করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের প্রমাণ পাওয়ার পর গত ৭ ও ৮ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

র‌্যাবের ওই অভিযানের পর রিজেন্ট মালিক সাহেদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর সংবাদমাধ্যমে আসতে শুরু করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক পরিচয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কীভাবে তিনি নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন, সেসব তথ্যও এখন গণমাধ্যমে আসছে।

রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর ৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে র‌্যাব। শুরুতে মামলাটি থানা পুলিশের হাতে থাকলেও পরে তা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে।

এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিনই তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ সাহেদকে আদালতে হাজির করে ১০দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পায়। এরপর মামলার তদন্তভার আবার বদল হওয়ায় রিমান্ডের ষষ্ঠ দিনে তাকে র‌্যাবের হাতে দিল গোয়েন্দা পুলিশ।

আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অস্ত্র ও জাল টাকার মোট তিনটি মামলা করা হয়েছিল উত্তরা পশ্চিম থানায়।

“প্রতারণার মামলাটি র‌্যাবকে দেওয়া হয়েছে, বাকি দুটি মামলার তদন্তভারও আমরা চাইব।”

Pin It