তরুণদের নিয়ে বরাবরের মতই ভিন্ন ধারার কাজ করে আসছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরেও একইভাবে ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা দারুণ সাড়া ফেলেছে তরুণদের কাছে।
সিআরআই এর ভিন্নধর্মী আয়োজনে জাতীয় সম্মেলনের প্রথম দিন সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত তরুণদের নিয়ে আয়োজন করা হয় বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ’লেটস টক’। যেখানে ’তারুণ্যের ভাবনায় বাংলাদেশের রাজনীতি’ শিরোনামে আলোচনায় তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক এবং সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী।
( বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখার পাশাপাশি ছবি তুলছেন দর্শনার্থীরা )
জাতীয় সম্মেলন ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিআরআই এর ১০ স্থাপনাও দারুণ সাড়া ফেলেছে দর্শক ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মেলন দেখতে আসা সানজিদা খানম ইতি বলেন, আগের সম্মেলন সরাসরি এসে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। কিন্তু টেলিভিশনে দেখেছিলাম। আজ সরাসরি দেখার অনুভূতিটাই ভিন্ন। এবারের সম্মেলনকে দারুণভাবে সাজানো হয়েছে। সবচাইতে ভালো লেগেছে আমাদের জাতির পিতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর জীবনী নিয়ে তৈরি হওয়া দুটি স্থাপনা। এক নজরে পুরো জীবনী চোখের সামনে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের সম্মেলন দেখতে এসেছেন আবু তোরাব পরশ। এবারের সম্মেলন একটি স্থাপনার দিকে তার নিষ্পলক চেয়ে থাকা দেখে জানতে চাওয়া হলো- ‘কি দেখছেন?’ এই তরুণ বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস দেখছিলাম। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মানুষ যদি আরও একবার আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের ইতিহাস দেখতে চায় তাহলে এটাই সবচাইতে উপযুক্ত সময়। সম্মেলনের স্থাপনাগুলো এক নজর ঘুরে দেখলেই জানা যাবে সবকিছু। আমিও পড়ছি, শিখছি। আওয়ামী লীগের নাম সবাই জানলেও সত্যিকার আওয়ামী লীগকে হয়ত এর আগে কখনও এত সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মেলন স্থল দেখতে আসা আইইআর ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এবারের সম্মেলনের সবচাইতে দুর্দান্ত বিষয় হচ্ছে এখানে স্থাপিত ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেখানে দাড়িয়ে এভাবে বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানতে পারা সত্যিই দুর্দান্ত। আমি এখানে আসার পর মুগ্ধ। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেকেই আমার সঙ্গে এখানে এসেছে শুধু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা কলেজ থেকে এসেছেন চন্দন বিশ্বাস। এই তরুণ শিক্ষার্থী জানান, সম্মেলনকে ঘিরে তরুণদের জন্য আয়োজিত ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছি আমি। সরাসরি দেশের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে কোন কিছু আলোচনা করা বা আমাদের ইচ্ছা, পরামর্শ বা অসুবিধার কথা সরাসরি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে দুর্দান্ত এক আয়োজন এটি। তরুণদের জন্য আওয়ামী লীগের এ দরণের ভাবনা আমাদেরকে দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করে।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এবারের আয়োজনে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সিআরআই এর ইতিহাস ভিত্তিক স্থাপনাগুলো। বিশেষত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের জন্য তৈরি পৃথক হলরুমে দর্শকের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়। এ ছাড়াও অন্যান্য স্থাপনাগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে থেকে ছবি তোলা বা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তিগুলো পড়তে দেখা গেছে উপস্থিত নেতাকর্মী ও দর্শনার্থীদের।