করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যেও স্বল্প পরিসরে আদালত চালুর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দুই দিনের মাথায় তা স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আদেশে শনিবার রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে জারি করা সুপ্রিম কোর্টের দুটি স্মারকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানানো হয়।
গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির জন্য ছুটির মধ্যে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এবং একজন বিচারক দিয়ে হাই কোর্ট বিভাগে কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার।
এছাড়া জেলা ও মহানগরের দায়রা জজ ও মুখ্য বিচারিক হাকিমের সুবিধামতো সপ্তাহে দুই দিন নিম্ন আদালতে জরুরি জামিন শুনানির আদেশও এসেছিল সুপ্রিম কোর্ট থেকে।
শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণ এবং বিভিন্ন আইনজীবী ও ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প পরিসরে আদালত পরিচালনার দুটি সিদ্ধান্তই স্থগিত করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের বিষয়ে বলা হয়, “অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২৩/৪/২০২০ তারিখের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা আগামী ২৭/৪/২০২০ পর্যন্ত স্থগিত করা হল।”
নিম্ন আদালতের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে জেলা জজ ও দায়রা জজ/ মহানগর দায়রা জজ এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত /চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম সপ্তাহে দুই দিন পরিচালনা সংক্রান্ত আদেশ দেয়া হয়েছিল।
“কিন্তু পরবর্তীতে ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিসহ সাধারণ বিজ্ঞ আইনজীবীগণ বর্ণিত আদেশ পুনর্বিবেচনা করত আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন।”
বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনার আদালত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এদিকে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা হবে বলে অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।