আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার অভিপ্রায় (ইচ্ছে) ছিল একটা ‘জুডিসিয়াল ক্যু’ করার। সেটা বাধা দিতে গিয়ে দুই-আড়াই বছর সময় নষ্ট হয়েছে। অনেক উন্নয়নকাজ ব্যাহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক সভা পরিচালনা করেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘যে মুহূর্তে আমরা আইনের শাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করব, সেই মুহূর্তে লেজিসলেটিভ ডিভিশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তার কারণ হচ্ছে, কোনো আইনই কিন্তু এই লেজিসলেটিভ ডিভিশনের আওতার বাইরে যেতে পারে না। সেটা অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ডিভিশন করেছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, যেদিন থেকে সংবিধান প্রণয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, সেদিন থেকে কিন্তু লেজিসলেটিভ উইংয়ের জন্ম হওয়া উচিত ছিল। লেজিসলেটিভ উইং একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উইং। সেটা হয়নি। আইন বানানোর জন্য যে আলাদা বিভাগ লাগে আর এটা পরীক্ষা করতে হয়, তা সামরিক শাসকেরা ভাবতেও পারেননি। এ জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সকলেই বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু বৈষম্য বিলোপ ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ফলে, আইন মন্ত্রণালয়ে বৈষম্য তৈরির কোনো সুযোগ নেই।’