প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে সরকারি তথ্যে সন্দেহ প্রকাশের পর বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠার সিপিডির আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সিপিডিকে দেশের ‘বিরুদ্ধে’ অবস্থান না নিয়ে জনগণের ‘পক্ষে’ কাজ করারও আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
সিপিডি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে একে ‘সুতা কাটা ঘুড়ি’র সঙ্গে তুলনা করেছিল। এর আগেও প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে সন্দেহের কথা জানিয়েছিল তারা।
সোমবার সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের পর সাংবাদিকরা তার কাছে এর প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, “হাউ দে আর পেইং ট্যাক্সেস, হাউ মাচ দে আর পেইং ট্যাক্সেস, ফ্রম হয়ার দে গেটিং মানি? সরকারের তো রেভিনিউ পাওয়ার জায়গা আছে। ওরা কোত্থেকে রেভিনিউ জেনারেট করে?
“আপনাদের মাধ্যমে আমি তাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম, উনাদের রেভিনিউ কোত্থেকে আসে? এবং এই রেভিনিউ পেয়ে তারা কী কাজ করে? উনারা রেভিনিউ কেন পায়, নিশ্চয় এদেশের কারও জন্য কাজ করার জন্য পায়। তো করছে কি না, সেটাও আমার জানা দরকার।”
তিনি বলেন, “আমি দেশের জনগণের নুন খাই, তাই আমি দেশের জনগণের গুণকীর্তন করি। উনারা কারটা খান, আমি জানি না।”
সিপিডির কার্যক্রম দেশের প্রতিকূলে যায় বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
“এরা আমাদের ভালোটা বলে না কেন, আমি বুঝি না। ভালোটা বলার দরকার নাই, এ দেশের ক্ষতি তারা করবে কেন? একটা নেগেটিভ সংবাদ দিলে আমাদের কম্পিটিটররা সংবাদটা লুফে নেবে এবং সেটা আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে।”
সিপিডির বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির হাত ধরেই ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠেছে।
“এটা হয়েছে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হাত ধরে। আর কোনো ম্যাজিক আমাদের কাছে নাই। তাহলে এটা অস্বীকার করবেন কেমন করে?”
সিপিডির হিসাবে ভুল রয়েছে দাবি করে মুস্তফা কামাল বলেন, “আমরা জিডিপি (প্রবৃদ্ধির হিসাব) দিয়েছি গত অর্থবছর পর্যন্ত। এই বছর যদি কোনো ঘাটতি থাকে, তাহলে সেটা তারা ভুল হিসাব করছে।”
তথ্যের অপ্রতুতলতা নিয়ে সিপিডির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “তারা লোকবল রাখে না কেন? আমাদের কাছে আছে, আমরা দেব কেন তাদের?”
ব্যাংকের তারল্য সঙ্কট নিয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “তারল্য সঙ্কট কি শুধু এখন, অতীতে কি ছিল না?”
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ব্রেক্সিটের কারণে ইউরোপেও অস্থিরতার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই এখন রপ্তানি একটু কমেছে।”