সিলেটের পাঁচ গুণীকে সংবর্ধনা

rotno-foundation-5ce57dde2aa22

সংবর্ধিত হলেন সিলেটে জন্ম নেওয়া প্রখ্যাত পাঁচ গুণী। মহৎ কর্মের মধ্য দিয়ে নিজেদের যেমন অনন্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তেমনি দেশে ও বিদেশে উজ্জ্বল করেছেন সিলেটের মুখ। এ কারণেই তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জীবন্ত কিংবদন্তি গুণীজন সংবর্ধনা’র আয়োজন করে সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশন।

বুধবার বিকেলে গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় অধ্যাপক ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবদুল মালিক, গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা নাসির এ চৌধুরী এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সামন্তলাল সেন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত গুণীদের তালিকায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হোসেন আবেদের নাম থাকলেও অনিবার্য কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানানো হয়।

গুণীজনদের সম্মাননা জানানোর জন্য অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, এমপিসহ সিলেটে জন্ম নেওয়া দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বরা।

অনুষ্ঠানে গুণীজনদের ক্রেস্ট এবং উত্তরীয় উপহার দিয়ে সংবর্ধিত করেন সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, সদস্য সচিব টি এইচ এম জাহাঙ্গীর, ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী হাবীব আহসান, ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, শামীম আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সাবরিনা সামাদসহ সিলেট রত্ন ফাউন্ডেশনের নেতারা। অনুষ্ঠানে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধিত করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’

সংবর্ধিত করার জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। ডা. আবদুল মালিক বলেন, ‘সিলেট এলাকার মানুষের এগিয়ে যাওয়ার জন্য মানসম্মত শিক্ষা এবং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে।’ নাসির এ চৌধুরী আশা করেন সিলেট থেকে ভবিষ্যতে আরও গুণীজন জন্ম নিয়ে দেশকে আলোকিত করবে। ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, ‘সিলেটের কোনো মানুষ যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য আমার পক্ষে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা দেব।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সিলেটে এখন শিক্ষার হার কমে গেছে, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। সিলেট যেন শিক্ষায় সবার চেয়ে এগিয়ে থাকে, সে চেষ্টাই সবাইকে করতে হবে। শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার জন্য প্রচেষ্টা নিতে হবে।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বিগত এসএসসির ফলাফলে সিলেট বিভাগের ফল আশানুরূপ হয়নি। এ কারণে সিলেটে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।’

Pin It