গোড়ালির চোটের কারণে ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না নেইমারের। গ্রুপপর্বে ব্রাজিলের তৃতীয় ম্যাচ ক্যামেরুনের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেও নেইমারের খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আগামী ২৮ নভেম্বর সুইজারল্যান্ড আর ২ ডিসেম্বর ক্যামেরুনের বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল।
বৃহস্পিতবার সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৮০তম মিনিটে ব্রাজিলের সুপারস্টার নেইমারকে এক পায়ের বুট খুলে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়।
মাঠ থেকে নেইমারকে কাঁদতে কাঁদতে বের হতে দেখে সমর্থকদের মনে প্রশ্ন জাগে, নেইমারের বিশ্বকাপ কি চোটের কারণে শেষ হয়ে গেল?
ব্রাজিলের কোচ তিতে বলেন, আমি বুঝতে পারিনি যে নেইমারের চোট লেগেছে। এ চোট সারিয়ে ফেরার ক্ষমতা ওর আছে।
নেইমারের চোট নিয়ে ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রড্রিগো লাসমার জানান, সার্বিয়ার ফুটবলারের হাঁটুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পান নেইমার।
ব্রাজিলের এই তারকাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল
রিচার্লিসনের জোড়া গোলে বৃহস্পতিবার রাতে সার্বিয়াকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করে ব্রাজিল। অথচ এই তারকাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এ শহরের এক দিনমজুর পরিবারে রিচার্লিসনের জন্ম। তার বাবা দৈনিক মজুরিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। মা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিক্রি করতেন আইসক্রিম। রিচার্লিসন হচ্ছেন মা-বাবার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। ছোটবেলায় ঠিকমতো তিনবেলা খাবারও জুটত না তাদের ভাগ্যে। অনেক রাত না খেয়ে ঘুমাতে হয়েছে তাকে।
টাইমসের সঙ্গে আলাপচারিতায় অতীতের সেই আক্ষেপ নিয়ে কথা বলেন রিচার্লিসন। তিনি বলেন, আমার অনেক বন্ধু রাস্তায় মাদক বিক্রি করত। সহজে অর্থ আয়ের সেটিই ছিল দারুণ সুযোগ। ঠিকঠাক মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে পারলে বেশ ভালো অর্থ পাওয়া যেত। কিন্তু আমার মা-বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন, এভাবে অর্থ আয় করা ঠিক নয়, সেটি অন্ধকার উপায়।
আমি তখন আমার মায়ের সঙ্গে চকলেট, আইসক্রিম বিক্রি করতাম। বাড়তি কিছু উপার্জনের জন্য বেছে নিতাম বড়লোকদের গাড়ি ধোয়ার কাজ। এই কাজগুলোকেই আমি টাকা আয়ের সঠিক উপায় হিসেবে জানতাম, বিশ্বাস করতাম। আমি আমার মাকে সাহায্য করতাম, যতটা পারতাম।
তিনি আরও বলেন, আমার যখন ১৪ বছর বয়স, তখন কোনো একদিন রাস্তায় ছোটদের সঙ্গে খেলা করছিলাম। হঠাৎ এক মাদক ব্যবসায়ী আমাদের খেলা থামিয়ে আমার মাথায় বন্দুক তাক করল। সে ভেবেছিল আমি হয়তো তার দলেরই লোক কিন্তু এখন পালিয়েছি। সে আমাদের তার দলের হয়ে কাজ করার জন্য তাগিদ দেয় এবং কাজ না করলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়।
বাবার উৎসাহে ফুটবলার হওয়া প্রসঙ্গে রিচার্লিসন বলেন, একদিন বাবা হঠাৎ করেই আমার জন্য কয়েকটি ফুটবল কিনে নিয়ে আসলেন। তিনি সব সময়ই চাইতেন, আমি ভালো ফুটবলার হই। আমরা রাস্তায় ফুটবল খেলতাম। স্যান্ডেল দিয়ে গোল বানাতাম।