সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। তালিকায় ১৫৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম। গত বছরের চেয়ে বাংলাদেশ ১০ ধাপ পিছিয়েছে।
বরাবরের মতো এ বছরও তালিকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। এর মধ্যে স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলো রয়েছে সবার ওপরে। তালিকার প্রথম চারটি দেশই স্ক্যান্ডিনেভীয়। আর নিচের দিকে রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। তালিকায় সবার ওপরে ফিনল্যান্ড ও নিচে সাউথ সুদানের অবস্থান।
‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক’ নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ প্রকাশ করে আসছে জাতিসংঘ। নাগরিকদের জীবন নিয়ে প্রত্যাশা, সামাজিক সুরক্ষা ও দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়। আগের দুই বছরের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১১০ ও ১১৫তম। এ বছর তালিকায় বাংলাদেশের পরেই আছে ইরাক।
তালিকা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে সুখী দেশ পাকিস্তান আর অসুখী দেশ আফগানিস্তান। তালিকায় দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে ৬৭তম ও ১৫৪তম। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের পরেই আছে ভুটান। তাদের অবস্থান ৯৫তম। ১০০তম অবস্থানে আছে নেপাল। এ ছাড়া শ্রীলংকা ১৩০তম ও ভারত ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে।
এবারের তালিকায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান ১৫তম, আর যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ১৯তম স্থানে। জার্মানির অবস্থান ১৭তম। এশিয়ায় শীর্ষে থাকা ইসরায়েল ১৩তম স্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মধ্যে আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন ও ইরানের অবস্থান যথাক্রমে ২১, ২৮, ২৯, ৩৭ ও ১১৭তম। এ ছাড়া জাপান ৫৮, রাশিয়া ৬৮ ও চীন ৯৩তম স্থানে রয়েছে। আর রোহিঙ্গা সংকটে জর্জরিত মিয়ানমার রয়েছে ১৩১তম স্থানে।
তালিকায় শীর্ষে থাকা ১০ দেশ হলো— ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও অস্ট্রিয়া। তালিকা অনুযায়ী, সবচেয়ে অসুখী ১০ দেশ হলো— দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, আফগানিস্তান, তানজানিয়া, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, মালাবি, সিরিয়া, বতসোয়ানা ও হাইতি।