সুখে থাকার পাঁচ উপায়

happiness-reuters-140120-01

মানসিক সুখই প্রকৃত সুখ। মানসিক শান্তি বজায় রাখতে নিজে ঝামেলা মুক্ত থাকুন।

মানসিক চাপ তৈরি করে এরকম বিষয় থেকে সবসময় দূরে থাকা যায় না। তবে নিজের নিয়ন্ত্রণে যেগুলো করা সম্ভব সেসব আত্মস্থ করা যেতেই পারে

জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সুখী হওয়ার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।

অভিযোগ কম: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সুখী থাকার অন্যতম উপায়। জীবনের যে সকল বিষয় আপনাকে বিব্রত করে ও নেতিবাচক প্রভাব রাখে তা বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। যে সকল বিষয়ের জন্য আপনি কৃতজ্ঞ এবং আপনার মনে আনন্দের সৃষ্টি করে এমন বিষয়গুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। চাইলে, প্রতিদিনের ভালো বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারেন, এটা আপনার অখুশি থাকার পরিমাণ কমিয়ে আনবে এবং জীবন আনন্দময় মনে হবে।

কারণ খুঁজে বের করা: লক্ষ্যহীন ভাসমান জীবন কেবল হতাশার সৃষ্টি করে। তাই জীবনকে আনন্দঘন করে তোলার জন্য কোন একটা কারণ খুঁজে বের করুন। কোনো শখ, যা করতে ভালো লাগে এমন কোনো কাজ অথবা নিজের ও অন্যের উপকার হয় এমন কাজ করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যের উপকার করা ইতিবাচকতা বাড়ায় এবং আন্তব্যক্তিক সম্পর্ক ভালো রাখে, যা নিরবধি আনন্দ দান করে। তাই নিজের ভালোর জন্যই অন্যের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন।

সম্পর্কে বিনিয়োগ করুন: একাকিত্বের চেয়ে খারাপ কিছু নেই। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং যোগাযোগ মন ভালো রাখে। তাই সময় পেলেই এদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন বা বাইরে বেড়াতে যান, সময় কাটান। এতে ‘ইগো’ দূর হবে এবং সময় ভালো কাটবে।

নির্ঝঞ্ঝাট থাকা: গবেষণায় দেখা গেছে, অগোছালো জীবন অনেক বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। তাই ভালো থাকতে জীবনের সকল ঝামেলা দূরে রাখা এবং স্বচ্ছ জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন।

স্বকীয়তা বজায় রাখুন: কোনো মিথ্যে অভিনয় নয়, আপনি ঠিক যেমন তেমনই থাকুন। স্বকীয়তা বজায় রাখতে যা ভালো লাগে তা-ই করুন। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা অন্যদের চোখে ভালো সাজতে গিয়ে নিজের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলা ঠিক নয়। অন্যরা কী ভাবলো সেই চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলুন।

Pin It