সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার প্রস্তাবে উদ্বেগ টিআইবির

sundorbon-5ac628545567a-5d07e8fe700a2

ইউনেস্কো সুন্দরবনকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্য’-এর তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার আগেই সুন্দরবন ও এর আশপাশের সংরক্ষিত অঞ্চলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ চলমান সব প্রকল্প স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির সুপারিশ আমলে নিয়ে কৌশলগত পরিবেশগত সমীক্ষা ও সময়াবদ্ধ অন্যান্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে তারা। সোমবার সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব প্রমাণ করে, ‘রামপালসহ অন্যান্য প্রকল্পের কারণে সুন্দরবন ঝুঁকিতে আছে’ বলে দীর্ঘদিনের এমন আশঙ্কা ও উদ্বেগ অমুলক ছিল না। কোনো ধরনের কৌশলগত ও পরিবেশগত সমীক্ষা ছাড়াই সুন্দরবনের কাছে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সরকারি উদ্যোগে আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অবিলম্বে রামপাল, তালতলী ও কলাপাড়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সব কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নে আশু পদক্ষেপ নিতে হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষা ও সুরক্ষায় সরকারি প্রচেষ্টা শক্তিশালী করার কথা ছিল। কিন্তু কৌশলগত-পরিবেশগত সমীক্ষা ও যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই সুন্দরবনের মতো বিশ্ব ঐতিহ্য ঝুঁকিতে রেখে রামপালসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সরকারের অঙ্গীকারের পরিপন্থি। ইউনেস্কোর এ প্রস্তাবের পর আর নির্বিকার থাকার সুযোগ নেই। অবিলম্বে সুন্দরবন সুরক্ষায় সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ইউনেস্কোর সুপারিশ আমলে নিয়ে অবিলম্বে তেল ছড়িয়ে পড়া ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা নিরসনে জাতীয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ দিয়ে তা কার্যকর করার দাবি জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব বাতিলে স্বল্পমেয়াদি আশু পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থার প্রস্তাবিত সব কার্যক্রম গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় সুন্দরবনের মতো বৈশ্বিক সম্পদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

Pin It