আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর ব্যবহার্য ‘মূল্যবান ঘড়ি’সহ উপহার পাওয়া অন্যান্য সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেতুমন্ত্রীর বিলাসবহুল ঘড়ির সংগ্রহ সম্পর্কে ৯ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা প্রশ্নবিদ্ধ ও পর্যাপ্ত নয়। বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। উপহারগুলো যেভাবেই তিনি পেয়ে থাকুন না কেন ২০১২ সালের জুনে হালনাগাদকৃত তোশাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী উপহারগুলো যথাসময়ে তোশাখানায় জমা দেওয়া হলো না কেন? যেহেতু তিনি জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই সংশ্নিষ্ট ধারা অনুসরণ করে উপহারসামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের অবস্থানে থেকে তিনি কি অন্যদের স্থাপিত দৃষ্টান্ত অনুসরণ করলেন, নাকি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেন- এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া অমূলক নয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে মন্ত্রী বলেছেন, ঠিকাদাররা নির্বাচনের সময় ‘একটা অ্যামাউন্ট’ দিতে চেয়েছিল, তিনি তা গ্রহণ করেননি। তার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে ঠিকাদারদের এ ধরনের অনৈতিকতা ও দুর্নীতির চর্চা প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাউকে কী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? টিআইবি তা জানতে চায়।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ ধরনের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা এবং নিজের দলের নেতাকর্মীসহ কাউকে ছাড় না দেওয়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ন কিনা এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো সৎসাহসের দৃষ্টান্ত সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।